মিজান লিটন
এরা নাকি স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। এদের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। এরাই ভদ্রবেশে শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে। এদেরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ক্ষমতাসীন ও বিভিন্ন উচ্চ মহল থেকে রাতভর চলে জোর তদবির। এদের অনেকেই শহরে ইদানীং মোটর সাইকেল চুরিসহ অনেক ঘটনা ঘটাচ্ছেন। এ রকম মন্তব্য করেন চাঁদপুর মডেল থানায় আসা বিভিন্ন স্থানে মোটর সাইকেল চুরি হওয়া মালিকরা। তাদের দাবি গ্রেফতারকৃতদের ভালো মতো জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হয়তো শহরের অনেক চুরি-ডাকাতির ঘটনাও বেরিয়ে আসবে। এরা প্রত্যেকেই মাদকাসক্ত। পুলিশের কাছে মোটর সাইকেল চোর হিসেবে ধরা পড়লেও অভিযানকালে পুলিশ আটককৃতদের কাছ থেকে ৯০ পিচ ইয়াবাও উদ্ধার করেন।
গত সোমবার রাতে চাঁদপুর শহরে ও বাবুরহাট এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত ১০ জনকে আটক করে। তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ওইদিন রাত থেকেই তদবির করতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ পেশাজীবী শ্রেণীর লোকজন। শহরের মধ্যে এ রকম মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত বড় অভিযান হওয়ায় পুলিশ কাউকে ছাড় দেয়নি। আটককৃত ১০ জনকে গতকাল সকালে মোটর সাইকেল ও মাদক মামলায় কোর্টে প্রেরণ করা হয়। এরা হলেন চিত্রলেখা এলাকার মাদক বিক্রেতা ধলা খোরশেদ (২৯), বাবুরহাট এলাকার হান্নান খানের ছেলে নাজিম খান (২৪), ফরিদগঞ্জের পাইকদীর মৃত আলী হোসেনের ছেলে মুরাদ হোসেন শেখ (৩২), মৃত রমজান আলীর ছেলে হুমায়ন কবির (২৮), শহরের কোড়ালিয়া এলাকার মন্টু হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার (২৬), নাজিরপাড়ার মৃত ইসমাইল দেওয়ানের ছেলে সাগর দেওয়ান (১৮), ইদ্রিস হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন শাওন (২১), দক্ষিণ দাসদীর মৃত আবুল বাশারের ছেলে শরীফুল হাসান (২২), কোড়ালিয়ার সেলিম গাজীর ছেলে রানা গাজী (১৯), আলিম পাড়া এলাকার গোপাল কর্মকারের ছেলে প্রিতম কর্মকার (২০)। অভিযানের নেতৃত্ব দেন মডেল থানার এএসআই নন্দন সরকার, বিপ্লব, আহসানুজ্জামান সহ সঙ্গীয় সদস্যরা।