চাঁদপুর শহরে দীর্ঘ কয়েক দিনের ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ও বুধবার দিন ভর টানাবর্ষণ ও বৃষ্টি পাতের কারনে শহর-শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে শত শত মানুষের জীবন যাত্রায় নেমে আসে দূর্ভোগ। ঈদকে সামনে রেখে মানুষজন সঠিক ভাবে মার্কেটে ও বাজারে গিয়ে তাদের নৃত্য দিনের কেনা কাটা করতে পারছে না। এছাড়া নৃত্যদিনের কাজ করা শ্রমিকরা কাজকর্ম করতে না পেরে পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা।
শহর-শহরতলী বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, বিগত দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত ও গতকাল বুধবারের সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিরাম ভর্ষনে চাঁদপুর শহরের রাস্তা ঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ও আবাসিক এলাকার শত শত মানুষ মারাত্বক দূভোগের মধ্যে অমানবিকভাবে তাদের জীবন যাপন ও মারাত্বক কষ্ট শিকার করে পানি দিয়ে যাতায়তা করছে। এসব মানুষজন কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে পানি মারিয়ে। দিন আনে দিন খায় এধরণের খেটে খাওয়া মানুষজন ও শ্রমিকরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি দূরভোগে। তারা সঠিক ভাবে তাদের কাজকর্ম করতে পাচ্ছে না।
ঈদকে সামনে রেখে কেনা-কাটা করতে আসা মানুষজন সঠিক ভাবে তাদের কেনা কাটা করতে সমস্যায় পড়ছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা ক্রেতা না থাকায় পড়েছে বিপাকে। তারা ক্রেতা সংকটের কারণে অবসর সময় কাটাতে হচ্ছে হতাশার মধ্যে। শহরের ঐতিহ্যবাহী পাল বাজারে বৃষ্টির পানি হাটু পর্যন্ত জমে আছে। পাল বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিপাতে পানি আটকে পড়ে। এছাড়া গতকালের অবিরাম ভর্ষনে পানি হাটু পরিমাণ জমে ক্রেতারা পরেছে বিড়ম্বনায়। তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতায়াত ও কেনাকাটা করতে পড়তে হয়েছে সমস্যায়। একদিকে পানি মারিয়ে চলাচল, অপরদিকে বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে যায়। অধিকাংশ দোকানে পানি আটকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষনিক তাদের কাঁচা সবজি ও মালামাল তড়ি-ঘরি করে টেবিল, চেয়ার ও বিভিন্ন পাত্র দিয়ে উচু করে রাখতে হয়। অনেক মুদি দোকানে পানি ঢুকে মালামাল তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি সাধণ হয়েছে। এছাড়া পাইকারী বিক্রেতা সালামত মিজির গোডাউনে পানি ঢুকে তাদের প্রচুর মুদি মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে বলে তারা জানান। শহরের বকুলতলা রেলওয়ে কলোনীতে বৃষ্টির পানি আটকা পড়ায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পরেছে। এলাকায় ড্রেনের উপর বাড়িঘর নিন্মান করে পানি নিষ্কাষন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এ স্থানের এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান সরকারি কর্মচারীদের চাইতে সবচেয়ে বেশি বহিরাগত মানুষ অপরিকল্পিত ভাবে অবৈধভাবে, পৌরসভার অনুমতি ছাড়া ঘরবাড়ি নিন্মান করায় এ সৃষ্ট অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলীয়ে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে হাসান আলী হাইস্কুল মাঠে ও রাস্তায় পানি জমে দেখা দেয় শহরবাসী ব্যাপক ভোগান্তি। অপরদিকে শহরের যমুনা রোড, মাদ্রাসা রোড, কোড়ালিয়া, উত্তর শ্রীরামদী জামতলা, নিশিবিল্ডিং রোড, মমিনপাড়া, প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি রোড, বিষ্ণুদি রোড, ওয়্যারলেছ এলাকা, রহমতপুর কলোনী, আলীমপাড়া, পালপাড়া, পুরাণ আদালত পাড়া ও পুরাণবাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে পানি আটকা পরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় মানুষজন রয়েছে বিপাকে। এছাড়া শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে ও পানি আটকে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার মধ্যে পরেছে শহরের বড়স্টেশন ৩নং কয়লাঘাট এলাকায় শত শত বস্তিবাসী। তারা আটকে পরা বৃষ্টি পানিদিয়ে তাদের সন্তানদের নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অন্যদিকে খবর নিয়ে জানাযায়, গ্রাম-গঞ্জের মানুষজন অতি কষ্টে তাদের গরুছাগল ও গবাদি পশু নিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। তারা ঈদ উপলক্ষে শহরে কেনা কাটা করতে আসতে পাচ্ছে না। এব্যাপারের প্রধান কারন ড্রেনেজ ব্যবস্থা বলে ভুক্তভোগীরা তাদের মত প্রকাশ করেছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের পানি নিষ্কাষনের জন্য জরুরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২২ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।