প্রতিনিধি=
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের ২য় দিনে চাঁদপুরে হরতাল সমর্থনকারীরা মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ, বিভিন্ন স্থানে অটো গাড়ি ভাংচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ ছাড়া হরতালের সমর্থনে জেলা বিএনপি, চাঁদপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এবং ওয়ার্ড বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ভোর ৬টা থেকেই ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা জেলা ও উপজেলার ছোট-বড় সকল পথে অবস্থান নেন। বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করার সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। চাঁদপুর ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে, মিছিলটি পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিক, সহ-সভাপতি কামালউদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডঃ একেএম সলিমউল্যা সেলিম, শরীফ মোঃ ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসত্দফা খান সফরী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান গাজী, জেলা জামায়াতের আমীর এএইচএম আহম্মদ উল্লা মিয়া, সেক্রেটারী বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, শহর জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আরিফ উল্লাহ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ জহির উদ্দিন বাবর, জেলা যুবদলের সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চান্দু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান কবির, শহর যুবদলের আহ্বায়ক আঃ কাদির বেপারী।
সকালে চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর এলাকা থেকে চাঁদপুর জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহরে হরতালের সমর্থনে বিৰোভ মিছিল বের করে ও পিকেটিং করে। মিছিল শেষে নেতৃবৃন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিমউদ্দিন খান বাবুল, কাজী গোলাম মোসত্দফা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান, অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বিএনপি নেতা হযরত আলী, ছাত্রদল নেতা শামছুল আলম সূর্য, সফিউদ্দিন বাবলুসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
হরতালের সমর্থনে ভোর থেকে পুরাণবাজার নতুন রাসত্দা ও নিতাইগঞ্জ এলাকায় ১নং ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ৭টায় বিপণীবাগ এলাকায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য নুরুল আমিন খান আকাশ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর গাজী, কাইউম খান, তাঁতীদল নেতা মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সকাল ৮টায় কালী বাড়ি এলাকা থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর খান ও সদস্য সচিব হযরত আলী ঢালীর নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেরাজ চোকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর মাতাব্বর, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোলায়মান ঢালী, যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন মিজিসহ জেলা, শহর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। সকাল সাড়ে ৮টায় ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লিটন মজুমদার ও সেক্রেটারী শেখ সালমান, জেলা যুবদলের সদস্য জাফর প্রধানীয়ার নেতৃত্বে বাবুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সকাল ৯টায় বিএনপি নেতা আলীম আল রাজী কবির, শরফুদ্দিন পলাশ, বাবু পাটোয়ারী ও মিন্টু দেওয়ানের নেতৃত্বে মিশন রোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সকাল ১০টায় চাঁদপুর আদালত প্রাঙ্গণ এলাকা থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে মিছিল বের হয় ও কোর্ট প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডঃ ইব্রাহীম খলিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ কামাল উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ফোরামের সদস্য অ্যাডঃ মিজানুর রহমান, অ্যাডঃ কামরুল ইসলাম, অ্যাডঃ আব্দুল্লা হিল বাকী, অ্যাডঃ হুমায়ুন কবির, অ্যাডঃ আবু সালেহ, অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর খান, অ্যাডঃ শাহেদুল হক মজুমদার সোহেল, অ্যাডঃ সায়েম, অ্যাডঃ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অ্যাডঃ তাফাজ্জল হোসেন, অ্যাডঃ এজেডএম রফিকুল ইসলাম, অ্যাডঃ রেহেনা ইয়াসমিন কচি, অ্যাডঃ ফরিদা ইয়াসমিন আলো প্রমুখ।
এ ছাড়া হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে, কদমতলা, কোড়ালিয়া এলাকায় ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। দুপুরের দিকে শহরের শপথ চত্বর এলাকায় হরতাল সমর্থনকারীরা একটি মোটর সাইকেলে অগি্নসংযোগ করে। এ ছাড়া পুরাণবাজার, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতির বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। হরতাল চলাকালে দুপুরের পর থেকে শহরে রিক্সা এবং অটো রিক্সা চলাচল করলে সিএনজি স্কুটার ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর শহরের কিছু দোকানপাট খোলা হলেও বেচা-বিক্রি ছিলো কম। শহর ছাড়া শহরতলীর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়াতে হরতালের পক্ষ ও বিপক্ষ সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জনের মতো আহত হয়।