উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে চাঁদপুর শহর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা মুলতবি করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গতকাল ২৯ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৪টায় চাঁদপুর পৌর পাঠাগারে শুরু হয় চাঁদপুর শহর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। কিন্তু সভা চলাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিত হট্টগোলের কারণে শেষ পর্যন্ত সভা মুলতবি করা হয়। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভায় উপস্থিত হন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহম্মেদ প্রধান অতিথি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বিশেষ অতিথি হিসেবে বর্ধিত সভায় যোগ দেন। নির্ধারিত সময়ে সভা শুরু হলে চাঁদপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ ঘোষ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন বাচ্চু পাটওয়ারীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিক, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম মফিজ বেপারী ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল পাটওয়ারী। ঠিক এ সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনির সমর্থনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একটি মিছিল পৌর পাঠাগারের সামনের রাস্তায় এসে জড়ো হয়। পরক্ষণেই জসিম পাটওয়ারীর নামে শ্লোগান দিতে দিতে একই স্থানে আরেকটি মিছিল এসে জড়ো হয়। তখন উভয় মিছিলের নেতা-কর্মীদের মাঝে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। কেউ কেউ পৌর পাঠাগারের দোতলায় বর্ধিত সভায় গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানেও বিভিন্ন ধরনের শ্লোগানে বর্ধিত সভার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত নেতা-কর্মীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে সভাস্থলে হঠাৎ চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জেলা সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বর্ধিত সভা মুলতবি ঘোষণা করলে জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীসহ নেতৃবৃন্দ সভাস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন। তখন পাঠাগারের নিচে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কঠোর হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিলো পৌর পাঠাগারের আশপাশে। এদিকে অনেককেই বলতে শোনা যায়, আজকে তো বর্ধিত সভা, এখানেতো কমিটি গঠন করা হবে না। তাহলে কারো কারো নামে শোডাউন কেনো?