চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ধস ॥ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক আব্দুস সভুর মন্ডল
ভাঙ্গন স্থানে জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ভ্রামপিং ॥ দ্রুত কাজ করার নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার:
॥ চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে রক্ষা বাঁধে আবারো মেঘনার ভয়াভহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা পয়েন্টের প্রায় ৩৫ মিটার এলাকার সিসি ব্লক দেবে যাওয়ায় এলাকাবাসির মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রবিবার সকাল ৯টায় পুরাণবাজার হরিসভায় ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করতে আসেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সভুর মন্ডল। তিনি পুরদর্শনে এসে বলেন, পুরানবাজরকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষ করতে খুব দূত কাজ করা হবে। এখনি ভাঙ্গন স্থানে জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ভ্রামপিং করে বাধ ঠেকাতে হবে। ভাঙ্গন স্থানে পূনরায় সিসি ব্লক ফেলানো হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পাওয়ায় পরেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভাঙ্গনস্থানে জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ভ্রামপিং করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় হরিসভা মন্দির এলাকায় নদীর পাড়ে আকস্মিকভাবে সিসি ব্লক দেবে গেছে। সেখানে এখন নদীর গভীরতা প্রায় ৫০ থেকে ৬৫ মিটার হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তাগণ। নতুন করে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় বাঁধের পাড়ে থাকা অবণী বণিক বাড়ির ১৫টি পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। শহর রক্ষা বাঁধে আবারো ভয়াভহ ধসে বাঁধের সিসি ব্লক
দেবে যাওয়ার এলাকাবাসির মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যায়। ভাঙ্গন আতঙ্কে বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জায়গা খুঁজছে অসহায় পরিবারগুলো। ভয়াভহ ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, রাস্তা, পশ্চিম শ্রীরামদী ও মধ্য শ্ররামদী আবাসিক এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাত্র ৬ মাষ পূর্বে শুষ্ক মওসুমে বাঁধের ভাঙ্গনের এ জায়গার ৯০ মিটার বাঁধ নতুন করে নির্মাণ এবং বালু,সিসি ব্লক ডাম্পিং কাজ করানো হয়। ছয় মাস না যেতেই সেই স্থানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় জনমনে চাপাক্ষোব দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার নূরু মিয়া তার কাজে গাফলতির কারনে ছয় মাস না যেতেই সেই স্থানে এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানায়, পুরানবাজার হরিসভায় শহর রক্ষা বাঁধের ৯০ মিটার কাজের জন্য এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়। ঠিকাদার নূরু ৩০ এপ্রিল তার কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ছয় মাস পরেই আবার ভাঙ্গন দেখা দেয়। ঠিকাদারে কাজের বিলের মধ্যে ৭০ লক্ষ বকেয়া রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় সীমার পূর্বেই ভাঙ্গন দেখা দেওয়ার কারনে সেইে ঠিকাদারকে তার নিজের অর্থায়নে কাজ শেষ করবে। শুধু মাত্র জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ভ্রামপিং করাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড অর্থ ব্যয় করবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, শুক্রবার দুপুরে সেই ভাঙ্গন স্থান আবারো একে একে সিসি ব্লক ও বালুর বস্থা দেবে গেছে। প্রবল স্রোত আর ঘূর্ণাবর্তের দরুণ হঠাৎ করে কিছু ব্লক সরে গেছে। আমরা ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভাঙ্গন জায়গায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
যে কোন মূহুত্তে ঐ এলাকার বসদঘরগুলো নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। ভাঙ্গনস্থান রক্ষা করতে হলে এখনি সেখানে জরুলি ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।