রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুরের দুই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর করে ব্যালট ছিনতাই করেছে নিয়ে গেছে র্দুবৃত্তরা। এছাড়া আরো তিনটি কেন্দ্রের ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখঅ হয়েছে। এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেছেন। বৃহস্পতিবার এসব কেন্দ্রের নয়টি কেন্দ্রের ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখঅ হয়েছে ভোটগ্রহন স্থগিত করে দেয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বি এম এ মান্নাফ কে মারধর করে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেয়। এছাড়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করায় চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স কেন্দ্রেরও ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমামুদপুরে কৃষ্ণপুর জোহরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একদল দুষ্কৃতিকারী ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। দুষ্কৃতিকারীদের বাঁধা দিলে ২৫৫ নং পুলিশ সদস্য আব্দুল খালেক ও আনসার সদস্য মাইনূল ইসলাম ও জীবন রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের মধ্যে আনসার সদস্য মাইনূল অজ্ঞান হয়ে পরে। একটি চক্র ব্যালট বাক্স ছিনতাই করছে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিপক্ষের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। তাৎক্ষনিক ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়। বিক্ষুদ্ধকারীরা একটি জারা মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পাশের পুকুরের পাড়ে ফেলে দেয়। দু‘গ্রুফের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন রক্তক্ষয়ী জখম হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে একটি ককটেল বিষ্পোরিত হয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। ৪ নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৩২ নং লোদেরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২য় তলায় পুরুষ ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, গুলিবিণিময় ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রিজাইডিং অফিসার ড. মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন জানান, এ কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৬শ ৭৩ ভোট রয়েছে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট গ্রহন চলে। এরপর কে বা কাহারা যেন এসে ৫ থেকে ৬ ভান্ডিল ব্যালট পেপার, ষ্টাম্প সিল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তাদেরকে বাঁধা দিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ কেন্দ্রে ৭ নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীক মেম্বার প্রার্থী নূরূল গাজী ও চাপকল প্রতীক হাবীবুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। এসময় মহামায়া কলোনীতে রাস্তার পাশে দুটি দোকান ভাংচুর করে লু লুটপাট চালায় সংঘর্ষকারীরা। উভয় পক্ষের পাল্টা পাল্টি হামলায় মেম্বার প্রার্থী হাবীব গাজী ও তার সমর্থিত বশির গাজী, জুয়েল, শিশির, জাহিদুল, ওয়াসিম, আমীরি, জেসমিন, মেম্বার প্রার্থী নুরুল গাজী ও তার সমর্থিত বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।