রফিকুল ইসলাম বাবু
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এঘটনায় ধর্ষিত ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি উপজেলার টামটা দক্ষিন ইউনিয়নের কুলশী গ্রামে ঘটে।
মামলার আর্জিতে জানা যায়, টামটা দক্ষিন ইউনিয়নের কুলশী গ্রামের তাজুল ইসলামের কন্যা (১৮) এবার এইচএসসি পাশ করে। তার লেখাপড়াজনিত চলাফেরায় নজরদারিতা ও বাধা প্রয়োগ করেন টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশীদ গ্রামের আহসান উল্লার পুত্র, শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল হোসেন।
এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের দূর্গ গড়ে উঠে। প্রেমের রাস্তায় হাটতে হাটতে বিয়ের আলাপ শুরু হয়। বিয়ের আশ্বাস আর বিশ্বাসের নীল জালে ফেলে সোহেল ওই ছাত্রীকে একাধিক বার ধর্ষণ করে।
এবিষয়ে মামলার বাদি তাজুল ইসলাম বলেন, আমি গরীব অসহায়। স্থানিয় উয়ারুক বাজারে নাইট গার্ডের চাকুরী করে মেয়ের লেখাপড়া চালাই।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আমার মেয়েকে যা করেছে তা তার মাকে অবহিত করে। আমি এসব শুনার পর স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই।
দলীয় প্রভাব আর অর্থের শক্তির কাছে আমি হেরে যাই। অসহায় ও নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা করি। মেয়ের এমন ক্ষতির সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।
ধর্ষিত ছাত্রী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল আমার সর্বশ্য লুটে নিয়েছে। এরই মধ্যে
আমি তার ঔরসজাত সন্তানের মা হতে চলেছি। সোহেলকে এবিষয়টি জানালে সে আমাকে গর্ভস্থ্য ভ্রুন নষ্ট করতে জোরপূর্বক ঔষধ খাইয়ে দেয়। এতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে সেই ভ্রুনটি নষ্ট হয়ে যায়।
এতে আমার বাবা তার এবং তার বন্ধু জাকারিয়া হোসেন ওরফে জাকিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ঘটনার দিন রাতে আমাদের বাড়ি এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রবল চাপ প্রয়োগ করে।
আমি প্রত্যারক সোহেলের কাছ থেকে স্থীর অধিকার চাই। এরজন্য সুষ্ঠু বিচার চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানিয় সংসদসদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার জবান দিয়েছেন সোহেল।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলা গ্রহনসহ প্রধান আসামীকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামী এখনও পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, ছাত্রলীগ আগামীর ভবিষ্যত। তাদের হাতে থাকবে আগামীর ভবিষ্যৎ। অথচ আজ ছাত্রলীগের সেই সোহেলের কাছে অসহায় পিতার কন্যার নিরাপদ হলো না। সোহেল যেন দলীয় প্রভাব ও অর্থের প্রভাব খাটিয়ে বিচারিক ব্যবস্থাকে নজু করতে না পারে সেই দিক সবার নজর দেয়ার জন্য আহবান জানান তারা।