মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালটি চাঁদপুর জেলাবাসীর একটি অমূল্য সম্পদ। এই হাসপাতালে সেবা নিতে চাঁদপুরের ৮টি উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুরসহ অনেক জেলা উপজেলার রোগীরা ভীড় জমায়। তাই সারাদিনই এই হাসপাতালে রোগীদের ভীড় থাকে উল্লেখ্যযোগ্যসংখ্যক। বর্তমানে এই হাসপাতালটির সামনের রাস্তায় মানুষ চলাচলের যে স্থানটি রয়েছে সেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে ব্যাংঙের ছাতার মতো অসংখ্য দোকানপাট। এসব দোকানপাটে দিনরাত মানুষের ভীড় লেগেই থাকে। ফলে পথচারী, রোগী, শিশুদের এই পথ দিয়ে হাঁটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের রাস্তাগুলো ও এর আশপাশ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ছিলো একদম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ছিলো না রাস্তার পাশে কোনো প্রকার যত্রতত্র গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট। ফলে সুবিধে হয়েছিলো পথচারীদের। তারা নির্বিঘেœ পথচলতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে মূল রাস্তার আশেপাশে মানুষজনের হাঁটার পথে ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ দোকানপাটে ভরে গেছে। ফলে একদিকে যেমনিভাবে পথচলতে কষ্ট হচ্ছে পথচারীদের ঠিক তেমনিভাবে এসব অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা দোকানপাটগুলোতেও চলছে নানা অসামাজিক কাজকর্ম।
জানা গেছে, চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সামনে রাস্তার পাশে ড্রেনের ওপর ক’টি দোকানে দেদারছে চলছে মাদকের ব্যবসা। রাত হলেই বাউন্ডারীর ভেতরে স্কুলের মাঠে চলে মাদকসেবীদের আড্ডা। অনেক সময় রাস্তার পাশের ওইসব দোকানগুলোতেও মাদকসেবীরা বসে প্রকাশ্যে বন্ধু-বান্ধবসহ মদ-গাঁজা সেবন করে। এ সময় স্কুল কলেজের মেয়েদেরকে এইসব মাদকসেবনকারীরা নানা প্রকার কটুক্তি করে থাকে। ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদেরকে আতঙ্কের মধ্যে ওই রাস্তাটি পার হতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর হাসপাতাল সংলগ্ন মসজিদের প্রস্রাবখানায়, ৬নং স্কুল ও ১২৫ নং কেজি স্কুলের মাঠে পড়ে আছে অনেক ইনজেকশনের সিরিঞ্জ। মাদকসেবীরা এসব জায়গায় বসে নিরাপদে নেশা জাতীয় ইনজেকশন গ্রহণ করে থাকে। অনেক সময় তারা নেশার টাকা সংগ্রহের জন্যে উক্ত এলাকায় চুরি ও অপরাধজাতীয় কাজ করে থাকে।
এলাকার লোকজন জানান, এখানে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে ওঠায় পথচারীদের হাঁটতে যেমন কষ্ট হচ্ছে তেমনি এসব দোকানে শহরের মদ-গাঁজা সেবনকারীদের আড্ডা জমে। সিভিল সার্জন অফিসের সামনে প্রশাসন ও পৌরসভার নাকের ডগায় অবৈধ দোকানপাট জমে এলাকার পরিবেশ নষ্ট ও মানুষের চলাচলের পথ সঙ্কীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে এই এলাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। অনেক সময় ওই রাস্তায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে জরুরি রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স ও রিকশা প্রবেশ ও বাহির হওয়ায় বাধা তৈরি করে রাখা হয়। এছাড়া হাসপাতালের আঙিনায় রিকশা, অটো, সিএনজি রেখে হাসপাতালের প্রবেশ মুখে যানজটের সৃষ্টি করে রাখা হয়। জনস্বার্থে এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নড়েচড়ে বসার অনুরোধ এলাকাবাসী ও হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।