শাহারিয়া খান কৌশিক॥
চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে এম্বোলেন্স চালক ও মালিকদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলছে। হাসপাতালে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা রোগীদের ধোকা দিয়ে এম্বোলেন্স চালকরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পৌছে দেওয়ার নামে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তেমনি শনিবার বিকেল ৫টায় ফরিদগঞ্জ থেকে আসা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধ হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। রোগীকে ঢাকা নেওয়ার নামে বিসমিল্লাহ এম্বোলেন্স মালিক হারুন ও অপর এম্বোলেন্স চালক শাহাজালাল রোগীকে নিয়ে টানা হেচরা শুরু করে। এতে করে রোগীর অবস্থা আশংঙ্খাজনক হয়ে পরে। এম্বোলেন্স মালিক হারুন তরিগরি করে রোগীকে ওঠিয়ে অপর এম্বোলেন্স চালক শাহাজালালকে মোবাইল চোর অপবাদ দিয়ে হাসপাতালের ষ্টাফ ও স্থানীয় যুবকদের ব্যপক মারধর করায়। প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে হাসপাতালের দালালী করে রোগীকে টানা হেচরা করায় স্থানীয় যুবকরা এম্বোলেন্স মালিক হারুনকে গনধোলাই দেয়। এ ঘটনায় হারুনের পক্ষ নিয়ে বখাটে একদল সন্ত্রাসী হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এসে হামলা চালায়। সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে চাঁদপুর মডেল থানা এসআই সিরাজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় হাসপাতালের ভিতর থেকে সকল এম্বোলেন্স বের করে দেয়। জানা যায়, দাসাদী গ্রামের নুরুল হুদা মিস্ত্রির ছেলে হারুন একসময় চাঁদপুর কলেজের বাস চালক হিসেবে চাকুরী নেয়। সামান্য একজন বাসচালক এখন কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। বর্তমানে তার ৩টি এম্বোলেন্স ও ১টি প্রাইবেটকার ও ৪টি ট্রাক রয়েছে। এছারা রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে সে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে একক আধিপত্য বিস্তার করে রামরাজত্ব কায়েম করে আসছে। এ প্রভাবশালী নেতার ভয়ে অনান্য এম্বোলেন্স মালিক ও চালকরা হারুনের আধিপত্য ও অত্যাচার মুখ বুজে সয্য করে আসছে। হারুনের রয়েছে বেশ কয়েকজন দালাল চক্র। হাসপাতালে রোগী আসার সাথে সাথেই তাদেরকে ধোকা দিয়ে ঢাকা নেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছারা হাসপাতালের কর্তব্যরত ঢাকায় সরকারী হাসপাতালগুলোতে রেফার করলেও সে প্রাইভেট হাসপাতালে যোগসাজেসে সেখানে নিয়ে যায়। এর পূর্বে হারুনের সাথে রোগীদের ঢাকা নেওয়া নিয়ে বেশ কিছু চালকদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।