চাঁদপুর শহরের বাবুরহাটে ভুয়া সম্পাদক ও ক্রাইম রিপোর্টারের পরিচয় দিয়ে ডাকাতির চেষ্টা কালে গৃহবধূর শ্লীতাহানীর অভিযোগে স্থানীয়রা ২ জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। আজ শুক্রবার সকালে বাবুরহাট পেন্নাই সড়কে জিন্টু সুপার মার্কেটের ৩য় তলা থেকে প্রতারক মনির খান ও এমকে আরশাদকে আটক করে পুলিশ খানায় নিয়ে আসে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, পুরাণ বাজার পশ্চিম জাফরাবাদের সিরাজ খানের বাড়ির মৃত জব্বার খানের ছেলে মনির খান ও চাঁদপুর সময় পত্রিকার সম্পাদক এমকে আরশাদ শুক্রবার সকাল ১১ টায় বাবুরহাট জিন্টু সুপার মার্কেটের ৩য় তলার ভাড়াটিয়া আওয়ামীলীগ নেতা খলিলুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে। এসময় তারা বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে খলিলুর রহমানের স্ত্রী মাসুদা আক্তার সাথীকে হেস্ত নেস্ত করে মাদক বিক্রি করে এ মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। একই কায়দায় গত বুধবার বিকেলে প্রতারক মনির খান তার ইকেক্ট্রনিক মিডিয়ার ১ সহযোগীকে সাথে নিয়ে খলিলুর রহমান না থাকায় তার বাসায় প্রবেশ করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ লঙ্কার নিয়ে আসে। শুক্রবার সময় পত্রিকার সম্পাদক এমকে আরশাদকে সাথে নিয়ে পুনরায় লম্পট মনির ঐ বাসায় প্রবেশ করে ভয়ভিতি দেখিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে। এসময় খলিলুর রহমান স্ত্রী মাসুদা আক্তার সাথীকে জড়িয়ে ধরে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করে। সাথীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ২ লম্পটকে হাতে নাতে আটক করে চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারকে অবগত করে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই নুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লম্পট ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে শহরের পালপাড়া বাসিন্দা মিজানুর রহমানের স্ত্রী বিউটি বেগমের বাসায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা প্রতারক মনির খান সহযোগী চাঁদপুর সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও পুরাণ বাজার আয়না ডেকোরেটরের মালিক এসআর শাহালম ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকা টাইগার মোস্তফার ছেলে মুরাদ হোসেন সহ আরো কয়েকজন মিলে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবী করে। প্রতারক মনির খান বিউটি বেগমকে ছুড়ি দেখিয়ে জোরপূর্বক ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে আসে। সেই ঘটনায় বিউটি বেগম বাদী হয়ে প্রতারক মনির খান সহযোগী চাঁদপুর সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও পুরাণ বাজার আয়না ডেকোরেটরের মালিক এসআর শাহালম ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকা টাইগার মোস্তফার ছেলে মুরাদ হোসেনকে আসামী করে মডেল থানায় মামলা দয়ের করে। প্রতারক মনির খান কিছুতিন পূর্বে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুন পাঠানের বাড়িতে গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১ ডাক্তারের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। সেই ঘটনায় ফরিদগঞ্জের লোকজন তাদেরকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। পরে মনির খান নাকে খড় দিয়ে মোচলেকার মাধ্যমে সেখান থেকে ছাড়া পায়। এ প্রতারক মনির খানকে শাহরাস্তিতে ফেন্সিডিল সহ তাকে আটক করে। একের পর এক বিভিন্ন জায়গায় কবিরাজদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করেছে। অবশেষে তাকে বাবুরহাট আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্বে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।