শওকত আলী:
চাঁদপুর জেলার মেঘনা ধনাগোধা ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে এ বছর বোরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই সেচ প্রকল্পের ২০% ধান কর্তন হয়েছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। সেচ প্রকল্প এলাকায় এখন ধান কাটা আর মাড়াই কাজে ব্যস্ত কৃষকরা।
মঙ্গলবার চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর চাঁদপুর জেলায় বোরে ধান আবাদের লক্ষমাত্র নির্ধারণ হয় ৬২ হাজার ৫শ’ ৪২ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৬শ’ ৭২ হেক্টর। আলু উত্তোলন করতে কিছুটা দেরি হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্র অর্জন হয়নি।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বালিথুবা ইউনিয়নের উপাধিক গ্রামের কৃষক আবু তাহের তালুকদার বলেন, তিনি এ বছর ৩ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ধান কর্তন শুরু করেছেন। আশা করছেন ১শ’ মনের বেশী ধান পাবেন তিনি।
একই ইউনিয়নের ইসলাম পাটওয়ারী জানান, তিনি বোরে আবাদ করেছেন ২ একর জমিতে। ধাণের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তিনি ১শ’ মন ধান পাওয়ার আশাবাদী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার লোহাগড়া গ্রামের কৃষক সফিকুর রহমান ও বাচ্চু পাটওয়ারী বলেন, সেচ প্রকল্প এলাকায় বোরে আবাদ পানি দেরীতে আশার কারণে আগে পরে আবাদ হয়েছে। অনেকের ধান পুরোপুরি কর্তন হয়েছে এবং অনেকের ধান এখনো মাঠে। তবে ভালো ফলন হওয়ায় তারা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে এ বছর বোরে ধানের আবাদ হয়েছে ৮হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত ১৫% ধান কর্তন হয়েছে। ৮-১০ দিনের মধ্যে ধান কর্তন শেষ হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, মেঘনা ধনাগোধা সেচ প্রকল্পে বোরে আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ধান কর্তন শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে কৃষকরা ধান বাড়িতে তুলতে পারবেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসরে উপ-পরিচালক আলী আহম্মদ জানান, অন্যান্য জেলার তুলনায় চাঁদপুর জেলায় বোরে ধান এখন পর্যন্ত ভালো আছে। সেচ প্রকল্পের বাহিরের ধান ডাকাতিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্তন করতে দেরি হয়েছে। সেচ প্রকল্পের ধানের ফলন খুবই ভালো। ৮-১০ দিনের মধ্যে অধিকাংশ ধান কর্তন শেষ হবে।