মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুর সেন্ট্রাল হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় একজন মুমূর্ষ রোগীর কক্ষ থেকে ওই চোর প্রায় ৩০ হাজার টাকা কৌশলে চুরি করে সটকে পড়ে সম্পূর্ণ অরক্ষিত এই হাসপাতালটি থেকে।
সরেজমিনে ওইদিন রাতে চাঁদপুর শহরের লেকেরপাড়স্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের দায়মুদ্দিন শেখের ছেলে প্রায় সত্তর উর্ধ্বে বয়সী সেকান্দর শেখ শারীরিক অসস্থতার চিকিৎসার জন্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। কর্তব্যরত চিকিৎসক এসে তাকে প্রেসক্রিপশন লিখে নার্সকে রোগীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যান। রাত প্রায় ১০টার সময় নার্স এসে রোগীর লোকজনকে ডাক্তারের লিখিত ঔষধপত্র আনতে বলেন। রোগীর আত্মীয়স্বজন ওই ঔষধগুলো নিয়ে এলে কর্তব্যরত নার্স শামীমা নাসরিন রোগীর কক্ষ থেকে বের হয়ে যাবার পর পরই হাসপাতালের ব্রাদারবেশী একজন লোক এসে রোগীর আত্মীয়স্বজনকে বলেন রোগীকে সাপোজিটরী দেয়া হবে সবাই বাইরে যান। রোগীর আত্মীয়স্বজনরা বাইরে গেলে ওই ব্রাদার দরজা বন্ধ করে কিছুক্ষণ কাটিয়ে সবাইকে ভেতরে যেতে বলে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই তাদের টাকার প্রয়োজন হলে তারা ব্যাগপত্র চেক করে দেখেন ব্যাগ ও রোগীর বালিশের নিচে রাখা প্রায় ৩০ হাজার টাকা নেই। সাথে সাথে তারা বিষয়টি হাসপাতালের ম্যানেজারের নিকট জানালে ম্যানেজারসহ হাসপাতালের লোকজন তাদেরকে তিরস্কার শুরু করে। পরে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা চেঁচামেচি শুরু করলে ওই হাসপাতালের ম্যানেজার রোগীর লোকজনকে গালমন্দ শুরু করে বলে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা অভিযোগ করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে হাসপাতালের ম্যানেজার উধাও হয়ে যায়। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রোগীর মেয়ে শেফালী বেগম (২৬) জানায়, আমার বাবাকে সন্ধ্যায় এই হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আমাদেরকে হাসপাতালের ১০৭নং কক্ষটি দেয়া হয়। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নোংরা থাকায় আমরা ওপরের একটি কক্ষ চাই, কিন্তু আমাদেরকে নিচতলায়ই থাকতে বলা হয়। পরে নার্সের সাথে ব্রাদাররূপী একজন ২৭-২৮ বয়সী লোক এসে হাতে গ্লাভস পরে রোগীকে সাপোজিটরী পুশ করা হবে বলে আমাদেরকে বেরিয়ে যেতে বলেন। আমরা বেরিয়ে গেলে ওই ব্যক্তি আমাদের টাকাপয়সা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমরা ম্যানেজারের নিকট বিষয়টি জানালে তারা উল্টো আমাদেরকে হুমকিধমকি দেয়া শুরু করে। পরে সাংবাদিকদের দেখে ওই ম্যানেজার কাউকে কিছু না বলেই পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ডাক্তার মুকিত সফিউল আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। চোর যদি আমাদের হাসপাতালের লোকজনই হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শিরোনাম:
বুধবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।