শওকত আলী ঃ
বঙ্গপোসগারে সৃষ্ট ঘুর্ণি ঝড় ‘মোরা’র প্রভাবের কারণে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী সকল ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে । সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় বিআইডাব্লিউটিএর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই ঘোষনা দেন। এ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ-বন্দরের উপ-পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। ঘূর্নিঝড় মোড়া ও বৈড়ি আবহাওয়ার কারনে নৌ-পথ উত্তাল হয়ে উঠে। নদীতে প্রচন্ড ডেউয়ের সৃষ্টি হয়। নৌ-পথ লঞ্চ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যার ফলে চাঁদপুর’কে ২ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখালেও বিআইডব্লিটিএ এর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল স্থানের লঞ্চ চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাবেনা বলে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে চাঁদপুর থেকে এমভি বোগদাদিয়া-৭,এমভি ইমাম হাসান-২, রাত ৮ টা ৪০মিনিটে এমভি মিতালী চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যায়নি। এছাড়া রাত ১০টা হতে রাত সারে ১২টা পর্যন্ত যে সকল লঞ্চ চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে,সে সকল লঞ্চকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ত্যাগ না করার জন্য চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ দিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস ও ট্রেনযোগে আসা শত শত যাত্রী,ঢাকা,নারায়নগঞ্জ,ও দক্ষিনঞ্চলের বরিশাল,ভোলা, লালমোহন, পাতারহাট, পয়সারহাট, ফিরোজ পুর, জালকাঠি সহ বিভিন্ন স্থানে যেতে না পেরে যাত্রীরা চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে এসে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হলেও আমাদের চাঁদপুরে আভ্যন্তরিন বিপদ সংকদে দেখানো হয়েছে দুই। তারপরেও পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ও বিভিন্ন স্থানের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। সকল লঞ্চ মালিক ও কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বলেন, বিপদ সংকেত জানার পর থেকেই চরাঞ্চল থেকে যে সব নৌকা এবং ট্রলার ছাড়া হয়েছে সেগুলো বন্ধ করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়াও নৌ-পুলিশের তৎপরতা জোড়দার রয়েছে।