স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাট এলাকায় ও এর আশ পাশে বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন ক্রমানয়ে দিন দিন বৃদ্বি পাচেছ।এখানকার সি সি ব্লক ও জিইও টেক্রটাইল ব্যাগ নদী গর্ভে স্রোতেরতোরে তলিয়ে যাচেছ। ফেরি ঘাট ও এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশাল এলাকা নিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় এ মেঘনার ভাঙ্গন ও ফাটল বড় আকার ধারন করে বড় ধরনের যান মালের ক্ষতির সম্বাবনা বিরাজ করছে। নদীর ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট রক্ষার দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক চাঁদপুরের প্রতি আবেদন জানিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার ফলে,বর্তমানে বর্ষার পানি বৃদ্বি পাওয়ায় ও সকল নদীর পানি চাঁদপুরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোঁপসাগরে প্রবেশ করার প্রভাবের কারণে সোমবার থেকে মেঘনা নদীর ঢেউ ও বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এর ফলে সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের চাঁদপুর-শরীয়তপুর হারিণা ফেরিঘাটের দুই পাশের নদী পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত ওই এলাকার বসত বাড়ি, দোকানপাট ক্রমেই মেঘনা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। মেঘনার ঢেউ এই অবস্থা বিরাজ করলে রাতের মধ্যেই তলিয়ে যাবে বহুবাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হুমকির মুখে রয়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট।মঙ্গলবার থেকেই ফেরি দিয়ে বড় আকারের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। হরিণা ঘাটের ব্যবসায়ী বাচ্চু ও ওই গ্রামের ছৈয়াল বাড়ীর আঃ মান্নান ছৈয়াল জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ মেঘনার ঢেউ এর কারণে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। মেঘনার পানি বৃদ্বি ও প্রচন্ড ঢেউ এর তীব্রতা আরো বেড়ে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে পাড় ভেঙে মেঘনায় তলিয়ে যাচ্ছে। এই মুহুর্তে কোন বসত ঘর কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ যদি রক্ষা করে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, বিকেলে হরিণা ফেরিঘাট এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। মেঘনার পানি বৃদ্বির কারণে তীব্র বাতাসের ফলে মেঘনা নদীর ঢেউ অতিরিক্ত বেড়েছে। এ কারণে হরিণাঘাটসহ আশাপাশের এলাকা মেঘনায় তলিয়ে যাচ্ছে। জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, ভাঙন শুরু হওয়ার খবর পেয়ে দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বাতাস আর ঢেউ এর কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদীর ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট রক্ষার দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক চাঁদপুরের প্রতি আবেদন জানিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছেন। গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোঃরুহুল আমিন দু দিনের সফরে চাঁদপুরে আসেন। এ খবর পেয়ে বিকেল ৫ টায় চাঁদপুর-হাইমচর নদী রক্ষাবাঁধ পরিদর্শনে আসবেন এমনটি শুনে স্থানীয় চেয়ারম্যান আঃ ছাত্তার রাঢ়ি, ডাঃ শেখ মহসীন, হারুন মেম্বার, আবুল খায়ের মেম্বারসহ ঘাটের ব্যবসায়ীগণ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী উপস্থিত হন এবং ঘাটটি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেন।