রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশতঃ তার পিতা মৃতঃ গাজী সিরাজউদ্দীনকে কালো তালিকাভূক্ত হিসেবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে প্ররন করা হয়েছে। ২০১৬ইং সালে ২ ফেব্রুয়ারী হাজীগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী অফিসার শেখ মুর্শিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত রাজাকারের তালিকায় ৯নং নামটি গাজী সিরাজউদ্দীনের। বিষয়টি নিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলায় সর্বমহলে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছে। মাননীয় সাংসদের আস্থাভাজন এই গাজী মাঈনুদ্দীন উপজেলা আ’লীগের একজন ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছেন। উপরন্তু তিনি নিজ বাড়ীতে একটি তিনতলা বিশিষ্ট প্রসাদসম ডুপ্লেক্স নির্মান করছেন। অনেকেই তার এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্থানকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তাই তার প্রয়াত পিতা গাজী সিরাজউদ্দীনকে নিয়ে গত কিছুদিন যাবৎ সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। এটি মূলত রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সাংসদের কাছ থেকে দূরে সরানোর একটি কৌশল মাত্র। উপজেলা এফএফ কমান্ডার রতন বলেন, হাজীগঞ্জে প্রায় সাড়ে ৩শ’ অ¯্রধারী রাজার ছিল। উপজেলা সাবেক কমান্ডারের নেতৃত্বে প্রয়াত গিয়াসউদ্দীন গাজীকে নিয়ে সম্প্রতি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে দ্বিমত পোষন করেন। তিনি আরো বলেন যুদ্ধকালীন গিয়াসউদ্দীন হাজীগঞ্জ থেকে সোনাইমুড়ী যাতায়াত করতেন। মুলতঃ সোনাইমুড়ী শ^শুড় বাড়ীতেই তিনি প্রতি রাতে রাত্রী যাপন করতেন। যাওয়া আসায় উনার সাথে কথা হতো। তিনি ছিলেন বিএলএফ কমান্ডার মোহন সিরাজের অধীন। উনি রাজাকার ছিলেন না, এব্যাপারে হলফ করে বলতে পারি।উপজেলা বিএলএফ কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম মোহন বলেন, হাজীগঞ্জ বাজারে কলেজ হোষ্টেলে ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়েছিল। সেখানে রাজাকার বাচ্চু ও ইউসুফ প্রতিদিন ১০/১৫জনকে প্রশিক্ষন দিত। সেখানে আমার সাথে গিয়াসউদ্দীন গাজী ট্রেনিং নিতেন ও বিভিন্নভাবে সহায়তা করতেন। বিএলএফ এর যুদ্ধকালীন সংগঠন প্রতিটি গ্রামে ছিল। প্রয়াত গিয়াসউদ্দীন গাজী বাজার এলাকার একজন সদস্য ছিলেন। মৃতঃ আঃ মমিন বলির নেতৃত্বে মকিমাবাদ এলাকায় সংগঠনটি পরিচালনায় সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। রাজাকার অফিসের কেরানী (মমিন বলির ভগ্নিপতি), গিয়াসউদ্দীন, আবুল বাসার কালু (ট্রান্সপোর্টে চাকুরী), টেক্সি ড্রাইভার সফিক ও আবু মিলে কমান্ডরের নিকট সকল খবরা খবর পৌছাতো। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বিহারী গফুর এর হত্যাকে কেন্দ্র করে সেদিন আ’লীগের কয়েকজনের মধ্যে প্রয়াত গিয়াসউদ্দীন গাজী, ইব্রাহিম মেস্তুরী, কাসেমসহ আরো অনেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হাজীগঞ্জ বাজারে বাচ্চু রাজাকারের চাইতেও বড় রাজাকার রেনু (বর্তমানে ফরিদপুরে) ছিল। উপজেলা কমান্ড এই জনস্বীকৃতদের তালিকা কোথাও পাঠিয়েছেন কিনা অনেকের প্রশ্ন ? উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দীন বলেন, আমি দলের জন্য নিবেদিত তাই এই অপপ্রচার। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার পিতার বিরুদ্ধে এমন অপবাদ। আমার মরহুম পিতার সাথের সহযোদ্ধারাই তা বলবেন। আমার আয়ের একটা বড় অংশই হলো স্বল্পমূল্যের জমি বহুগুনে বিক্রয়লব্ধ টাকা। তবে আমি বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর, পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত অবহিত করবো।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- হোম
- /
- চাঁদপুর সদর
- /
- হাজীগঞ্জ
- /
- চাঁদপুর হাজীগঞ্জে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার আ’লীগের নেতা গাজী মাঈনুদ্দীন
আরও সংবাদ
হাজীগঞ্জে মালবাহী মিশুক উল্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মালবাহী মিশুক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খালে পড়ে মো. মিজানুর রহমান (৪৫) নামে... বিস্তারিত
হাজিগঞ্জের দুই বোনের একসাথে বিসিএস জয়!
গুলে জান্নাত সুমি ও জান্নাতুন নাঈম খুশবু দুই বোন। বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। তাঁরা এবার ৪১তম... বিস্তারিত
হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি,তে ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসাইন বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে…
সোমবার ৩১ জুলাই দাপ্তরিক কাজ শেষে অনির্ধারিত কর্মসূচিতে শাহরাস্তি এবং হাজীগঞ্জ দুই উপজেলা... বিস্তারিত
শিয়ালের মাংস বিক্রি দুই ব্যক্তিকে জরিমানা
হাজীগঞ্জ বাজারে শিয়ালের মাংস বিক্রির দায়ে দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে ১০ হাজার টাকা... বিস্তারিত
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।