রফিকুল ইসলাম বাবু ।
চাঁদপুরে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ফারহানা আক্তার শারমিনের বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশ আদালাতে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। গত ৩ আগষ্ট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চাঁদপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সুজন কান্তি বড়ুয়া আসামী শারমিনের বিরুদ্ধে (এফ আই আর নং ৩৫/২৮২, তারিখ: ১৯ মে, ২০২১; সময় ২২.১ ঘটিকা ধারা ৮(২)/৮(৩)/৮(৭) ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন) মামলায় ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) আবেদন করলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (এফ আই আর নং ৩৫/২৮২, তারিখ: ১৯ মে, ২০২১; সময় ২২.১ ঘটিকা ধারা ৮(২)/৮(৩)/৮(৭) ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন) মামলায়
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ: আসামী ফারহানা আকার শারমিন (২৫), পিতা শাহ এমরান মিজি, স্থায়ী: গ্রম দক্ষিণ শ্রীপুর, উপজেলা/ থানা হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। উক্ত আসামী গত১৮/০৭/২০২১ খ্রি তারিখে বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করিলে আদালত তাহাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। বাদীনি ফাহিমা আক্তার লাকী ও সাথী আক্তার আপন বোন।আসামী ফারহানা আক্তার তাহাদের ভাইর বৌ। আসামী ওমর ফারুক আসামী ফারহানা আক্তারের ভাই। তাহারা একত্রে বরকন্দাজ বাড়িতে ঘটনাস্থলের বাসায় থাকত। এসময়ে আসামী কুদ্দুজ মিজি প্রায়ই উক্ত বাসায় আসা যাওয়া করত। স্বামী প্রবাসে থাকায় আসামী ফারহানা আক্তার শারমিন এর সাথে আরিফ নামের একটি ছেলের পরকিয়া প্রেম হয়। বাদিনী ও তাহার ভাই বোন সবাই আসামী শারমিনকে এই সব না করার জন্য বলে। ইহা নিয়ে আসামীর সহিত বাদিনীর ভাই বোনের মনোমানিল্য আরম্ভ হয়। এই কারনে আসামীগণ বাদিনী ও তাহার বোনের মোবাইল হইতে বিভিন্ন কৌশলে তাহাদের ছবি আসামীগণ তাহাদের নিজেদের মোবাইলে নানা কৌশলে সংগ্রহ করে অন্য নারীর অশ্লিল নগ্ন ছবির সাথে ওমর ফারুক তাহার ছবির সাথে বাদিনীর ও সাক্ষী সাথী আক্তারের অশ্লিল ছবি যুক্ত করিয়া রাখে। আসামী ঘটনাস্থল বাড়ি হইতে তাহার নিজের পিতার বাড়িতে চলিয়া যায়। ১ মঃ ঘটনার দিন ও সময়ে ১/২ আসামী ঘটনাস্থল বাসায় আসিয়া বাদীনি ও তাহার বোনকে উক্ত অশ্লিল নগ্ন ছবি দেখাইয়া ৫ লক্ষ টাকা আসামীদের দেওয়ার জন্য বলে। টাকা না দিলে আসামীগণ বাদীনি ও তাহার বোনের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়াইয়া দিবে এবং সকল আত্মীয় স্বজনের কাছে পাঠাইয়া দিবে বলিয়া জানায়। বাদীনি ও তাহার বোন আসামীদেরকে কোন টাকা দিবে না বলে।এর পরে উক্ত আসামীদ্বয় আসামী কুদ্দুজ মিজির মোবাইল হইতে তাহার ইমু আইডি এবং তাহার ছেলের নামে ইমু আইডির মাধ্যমে বাদীনি ও তাহার বোনের উক্ত প্রকার অশ্লিল নগ্ন ছবি ভিডিও পাইরেসি করিয়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইলে ছরাইয়া দেয় এবং সাথীর স্বামী সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে প্রেরণ করিয়া বাদীনি ও তার বোনের সামাজিক মর্যাদা সহ মানহানি করে।