মিজান লিটন
চাঁদপুর শহরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর নববধূ হাজেরা (১৬) হত্যার ঘটনায় ময়না তদন্ত রিপোর্টে আত্মহত্যা উল্লেখ রয়েছে। এ রিপোর্ট মডেল থানায় দাখিল করেছে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাজেরাকে স্বামী ও স্বামীর পরিবার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে অভিযোগ এনে ঘটনার পরপরই নিহত হাজেরার পিতা বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় পুলিশ প্রধান আসামী হাজেরা আক্তারের স্বামী শরীফকে কিছুদিন আগে আটক করে।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুদী এলাকার ফরিদ খন্দকারের মেয়ে পীর মহসিন উদ্দিন পৌর বালিকা হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণী পড়�য়া হাজেরার সাথে শহরের মমিন পাড়া ফজলুল হক মুন্সির ছেলে শরীফের আড়াই মাস পূর্বে বিয়ে হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ঘরের ভেতরে ঝুলানো অবস্থা থেকে হাজেরাকে উদ্ধার করে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন মৃত্যুর ঘটনা অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য হাসপাতাল ব্যাপক ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাজেরার আত্মীয়স্বজন হাসপাতালে এসে কাউকে না পেয়ে মৃত অবস্থায় হাজেরাকে হাসপাতালের কক্ষে পরে থাকাবস্থায় দেখতে পায়। এ ঘটনায় মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ হাজেরাকে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। হাজেরার বাবা বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় স্বামী শরীফ ও তার আত্মীয়স্বজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। শরীফ বেশ ক�দিন পলাতক থাকার পর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কাশেম গোপন সংবাদে তাকে রঘুনাথপুর থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। বর্তমানে শরীফ জেল হাজতে রয়েছে। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সিরাজুল ইসলাম হাজেরার ময়না তদন্ত শেষে রিপোর্ট দাখিল করেন। হাজেরা নিজেই আত্মহত্যা করেছে মর্মে ময়না তদন্ত রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন।