ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জের চাঞ্চল্যকর মাকসুদ আলম মাক্কু হত্যা মামলার দুই আসামীকে থানা পুলিশ গাজীপুর জেলা থেকে আটক করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলো: মিরপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ি ওরফে চৌকিদার বাড়ির আবুল খায়ের চৌধুরীর ছেলে মাহবুব রাব্বানী মুন্না(১৮) ও মৃত ছোবহান চৌধুরীর ছেলে মমিন চৌধুরী(৪৮)। মাকসুদের পিতা আ: মান্নান কর্তৃক ফরিদগঞ্জ থানয় দায়েরকৃত হত্যা মামলার মুন্না এজাহার নামীয় দুই ও মমিন চার নম্বর আসামী। শুক্রবার সকালে মুন্নাকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকা ও তার স্বীকারোক্তি মতে মমিনকে ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাদেরকে শুক্রবার গভীর রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে শনিবার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, চলতি বছরের ২ মে মঙ্গলবার সকালে মিরপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির পাশের একটি ডোবায় মাকসুদের লাশ যাওয়া যায়। এঘটনায় মাকসুদের পিতা আ: মান্নান ওইদিনই বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ওইদিন ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায় মাকসুদকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ ওই মামলার সূত্র ধরে ব্যাপক তদন্তের পর শুক্রবার সকালে মুন্নাকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকা ও তার স্বীকারোক্তি মতে মমিনকে ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, একটি চুরির অপবাদ দিয়ে মাকসুদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। খুনিরা আত্মগোপন করলেও পুলিশের ভয়ে এঘটনার পর পাশ্ববর্তী চৌকিদার বাড়িসহ আসেপাশের কয়েকটি বািিড় প্রায় পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছিল।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব চন্দ্র দাস মুন্না ও মমিনকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে জানান, শনিবার দুপুরে তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। #
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।