প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চান্দ্রা বাজারের মিরন খাঁ মার্কেটে আগুন লেগে ২টি দোকান, ১টি অফিস ও দুটি বাসার সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে।
ঘটনাস্থল কলেজ রোডে গিয়ে জানা যায়, ঐদিন ভোর ৪টার সময় অজ্ঞাত কারণে মার্কেটে আগুন লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নাইট গার্ড মোঃ রুহুল আমিন এই অগ্নিকাণ্ড দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে মার্কেটের পেছনের বাসায় ঘুমিয়ে থাকা পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিক শরিফ ও সেলিম এবং তাদের স্ত্রী সন্তানরা দেখেন তাদের বাসার ভেতরে আগুন। পরে সবার চিৎকারে আশপাশের মানুষ উঠে আসে এবং মসজিদের মাইকে আগুন লাগার কথা বললে দল বেঁধে মানুষ আসে। চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত জনতা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই পুরো মার্কেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ডেকোরেটরের মালিক শরীফ জানান, জেনোরেটর ৩টি, স্ট্যান্ড ফ্যান ২০টি, মরিচ বাতি ৫ লাখ, ভ্যান গাড়ি ২টি, বড় পাতিল ১০টি, চেয়ার, টেবিল, গ্লাস, প্লেট, বাসায় থাকা ফ্রিজ, টিভি, স্টিলের আলমিরা, শো-কেস, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামালসহ তার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পুড়ে যাওয়া অন্য দোকানটি ছিলো মেনো ফ্যাক্টরী। সে ফ্যাক্টরীতে তৈরি হতো বিভিন্ন নামের বিরানী ও মিষ্টান্নের প্যাকেট। ফ্যাক্টরীর মালিক সেলিম জানান, তার ফ্যাক্টরীতে থাকা কাগজ, মেশিন, বাসার টিভি, ফ্রিজ, স্টিলের আলমিরা, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামালসহ তার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
অন্য দিকে মিরন খানের অফিসে থাকা টিভি, আসবাবপত্রসহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে তিনি জানান। মার্কেটের মালিক মোঃ মিরন হোসেন খান জানান, বৈদ্যুতিক কোনো কারণে আগুন লাগে না, যে কেউ হয়ত শত্রুতাবশত আগুন লাগিয়েছে। এতে করে আমার প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তা আমি সেরে উঠতে পারবো। কিন্তু যে দোকানদারদের ক্ষতি হয়েছে তারাতো পথের ফকির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ডেকোরেটরের মালিক শরীফের বিভিন্ন সমিতিতে কয়েক লাখ টাকা ঋণ আছে এবং মেনো ফ্যাক্টরীর মালিক সেলিমেরও একই অবস্থা। এখন এ দোকানদার দুজনের কী হবে? মিরন খান জানান, ধনবানরা ঐ দু দোকানদারের জন্য যেনো আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসে এ আমার আহ্বান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থল বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ পরিদর্শন করেছেন।