চাঁদপুর: প্রবাসে ফেরত এক রেমিটেন্স যোদ্ধা শাহ আলম খানের ছেলে মোহাম্মদ মোহন খান (৩০) বাড়িতে এসে নিজ পৈত্রিক সম্পদের উপর পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে সংসার করতে একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুর” করে।
কয়েকদিন আগে ঘর নির্মাণের জন্য ইট বালি সিমেন্ট এনে কাজ করা শুর” করলে মৃত আলী খানের ছেলে আপন চাচা মজিবুর রহমান ওরফে মজু (৫০) খান, ভাতিজা মোহন খানের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন।
মোহন খান কিসের টাকা কি কারনে দেব বলে অনিচ্ছা ও অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা মজু খান (৫০) ও তার ছেলে সোলেমান খান ( ৩৮) মামুন খান সহ কয়েকজনকে নিয়ে মোহন খানের পত্রিকা সম্পদ ৫৩ শতাংশ জমির উপরে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়।
জমির মালিক মোহন খানের বাবা শাহ আলম খান (৭০) বলেন, মজু খানকে দীর্ঘদিন যাবত কাঁটাতার দিয়ে জমি দখল করে রাখা কাঁটাতার সরেনিতে বললে মজু খান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এবং শাহল খানের ছেলে মোহন খান,১০ লক্ষ টাকা না দেওয়া পর্যন্ত জমি ছাড়বে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন মজু খান।
২১ ফেব্র”য়ারী সকালে বাড়ির কাজে বাধা, জমি দখল, ও ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির বিষয়ে শাহ আলম খান (৭০) স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে গেলে মজু খান (৫০) আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেরা সংঘবদ্ধভাবে স্থানীয় গাজী বাড়ি এলাকায় দোকানের সামনে প্রকাশ্যে মোহনের বাবা শাহলম খানের (৭০) উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় ।
এবং প্রকাশ্যে দিবালোকে লোহার রড, হাতুড়ি ও বিভিন্ন লোহার পদার্থ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
এবং গায়ের জামা কাপড় ও মুখের দাড়ি টেনে-হিঁচড়ে ছিড়ে ফেলেছে।
বাড়িতে এসে শাহআলম খানের ছেলে মোহন খান (৩০) কে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে।
তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরের অবস্থা দেখে ভর্তি করায়।
বর্তমানে মোহন ও তার বাবা শাহ আলম খান (৭০) চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
শাহলম খানের ছেলে মোহন খান বলেন, মজু খান হলেন আমার আপন চাচা। সে প্রায় সময়ই এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকা ধার হিসেবে টাকা নিয়ে থাকেন। পাওনাদাররা তাদের টাকা চাইতে গেলে উল্টো তাদেরকে গালমন্দ ও মারধর করে থাকে। অভিযুক্তরা হলো মৃত আলী খানের ছেলে মজু খান(৫০), তার বড় ছেলে সোলায়মান খান(৩০), ও মামুন খান (২০)।
স্থানীয়রা জানান, মজু খান ও তার পরিবারের সদস্যরা একাধিক মামলার আসামি। এমনকি তাদের বির”দ্ধে হাফ মার্ডার মামলার ওয়ারেন্ট ও রয়েছে। একাধিক মামলা মাথায় নিয়ে তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে নেয়াই তাদের পেশা।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, শাহ আলম খান একজন সহজ সরল নিরীহ মানুষ। মজু খান ও তার পরিবার দুষ্টু প্রকৃতি ও সন্ত্রাসী লোক। এলাকায় শহজ সরল মানুষের উপর ক্ষুদ্র বিষয় দোষ ধরে উত্তেজিত হয় হামলা চালিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আদায় করে নেয় তারা। মজু খান (৫০) ও তার পরিবার একাধিক মামলার আসামি।
শাহ আলম খানের পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযোগকারীদের বির”দ্ধে অবিলম্বে তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানায় এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/