রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পেছনে দক্ষিন জিটি রোড এলাকার আত-তাকওয়া মাদ্রাসার নাজরানা বিভাগের শিক্ষক আরমান কর্তৃক একই বিভাগের তাওহীদুল ইসলাম জিহাদ (৯) নামের ছাত্র কে মরধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জিহাদ বাগাদী ইউনিয়নের কলমÍর গাজী বাড়ির হুমায়ন গাজীর ছেলে। জিহাদের পিতা জানায়, জিহাদ কে দেড় মাস পূর্বে এ মাদ্রাসার (আবাসিক) নাজরানা বিভাগে ভর্তি করি। ১৫ দিন পূর্বে জিহাদ মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাবে বলে অন্য শিশুরা নাজরানা বিভাগের শিক্ষক আরমান কে জানায়। পরে শিক্ষক আরমান শিশুদের কথা শুনে জিহাদ কে বেধম মারধর করে। এতে জিহাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে লিলা যখম হয়ে রক্ত জমাট বেধেঁ যায়। বৃহস্পতিবার আমি জিহাদকে বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গেলে সে ঘটনাটি আমাকে জানায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. আবুল খায়ের জানায়, এ মাদ্রাসায় শিশুদের মারধরের অভিযোগে এর পূর্বে কয়েকজন শিক্ষককে বিদায় করে দিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আরমান হুজুর বাড়িতে গিয়েছে। তিনি আসলে শিশুর পরিবারকে ঢেকে এনে ঘটনাটির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শিশু জিহাদ জানায়, আরমান হুজুর আমাকে অনেক মারধর করে। রাতে শরীর ব্যাথা করলে কাপড় গরম করে স্যাকা দিয়ে দেওয়া হত। এ বিষয়ে শিশু জিহাদের পিতা চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।