মতলব শহরের সিএনজি স্টেশন এলাকায় রবিবার বিকালে স্থানীয় ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সিএনজি স্টেশনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পুলিশ এ ঘটনায় উভয় দলের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে। আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিরান হোসেন মিয়াজীর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকায় চিকিত্সার জন্য নেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রদলের মিরান হোসেন মিয়াজী সিএনজি স্টেশন এলাকায় বিকালে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান সরকারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাত্ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক (সাংসদ রফিক সমর্থিত) মাসুম সরকারসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী মোটরসাইকেলযোগে এসে মিরানের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ খবর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত ছাত্রদল কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তারা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাসেল দেওয়ানকে বেধড়ক পেটায়। ছাত্রদলের কর্মীদের থামাতে গিয়ে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শরীফ উল্লাহ টিটু এবং পৌর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুই দলের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে আরো অন্তত ছয়জন নেতাকর্মী আহত হন। সন্ধ্যা ছয়টায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত মিরান হোসেনকে প্রথমে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিএনজি স্টেশনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এখনো মামলা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের কর্মী মামুন সরকার এবং ছাত্রদলের কর্মী কবির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।