স্টাফ রিপোর্টার
ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মীকে বেআইনী সমাবেশের দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনাটি ঘটে গতকাল রোববার দুপুরে হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ছাত্রলীগ কর্মী সেলিমকে ১৪৩ ধারায় (বেআইনী সমাবেশে অংশগ্রহণ করার দায়ে) উক্ত সাজা দেন। সেলিম চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার বাড়ি উপজেলার বাকিলা এলাকার সন্না গ্রামে। সে ঐ গ্রামের মনিন্দ্র ডাক্তার বাড়ির কালু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সকল ক’টি অবরোধে বাকিলা বাজারে অবরোধকারীরা মহাসড়কে ব্যাপক গাছের গুঁড়ি ফেলে ও সড়কের পাশের গাছ কেটে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে আসছিলো। যা পর্যায়ক্রমে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বরাবর ঐ সকল গাছের গুঁড়ি সরিয়ে আসছিলো। এদিন ও একইভাবে ভোরে পুলিশের মতো বিজিবি মহাসড়ক থেকে গাছ সরিয়ে চলে যায়। অবরোধকারীরা ফের আবারো গাছ ফেলে বাকিলা এলাকার মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দুপুরের কিছু পরে চাঁদপুর থেকে ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদের নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্য ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) কুতুব উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স যৌথভাবে বকিলা বাজারে লাঠিচার্জ করে। এ সময় বাজারস্থ ঢাকা হোটেলের সামনে ফুটপাথের ফল ব্যবসায়ী এমরানকে পেটানো হয়। এর পরই বাজারস্থ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দাঁড়ানো অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মী সেলিমকে আটক করে চাঁদপুর নিয়ে যায়। চাঁদপুর এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে উক্ত সাজা প্রদান করা হয়।
বাকিলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আহসান নয়নের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সেলিম ছাত্রলীগের নিরীহ কর্মী। বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সেলিমকে আটক করার পর আমি নিজে বাকিলা বাজারে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দলীয় পরিচয় দিয়ে কথা বলেছি। ম্যাজিস্ট্রেট বলেছিলেন তাকে চাঁদপুরে নিয়ে ছেড়ে দেবেন। সেলিমের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কী কারণে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে সাজা দিলো বুঝতে পারছি না।