প্রতিনিধি-
ফরিদগঞ্জের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এম সফিউল্যাহর পরিবারে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ পারিবারিক, সামাজিক অথবা আইনগতভাবে এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, যে কোনো সময় এ পরিবারের মধ্যে খুনা-খুনির ঘটনা ঘটে যেতে পারে। গত ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে এম সফিউল্যাহর ছোট ছেলে সফিউল আজম রাজন ও তার স্ত্রীর উপর হামলা করেছে তারই আপন বড় ভাই সফিউল আলম সুমন। এমনকি রাজনের বাসার সিসি ক্যামেরা এবং বসত ঘরের আসবাবপত্রও ভেঙ্গে ফেলেছে।
জানা যায়, এম সফিউল্যাহর ইনত্দেকালের পর গত কয়েক বছর যাবৎ তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ দেখা দেয়। তার ছোট ছেলে রাজন জানান, আমার ভাই-বোন সবাই মিলে আমাকে আমার পিতার সম্পত্তির অংশ থেকে বঞ্চিত করার নানা অপচেষ্টা করে। আমাকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমাকে অপহরণ পর্যনত্দ করা হয়েছে। আমার স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের উদ্যোগে প্রশাসনের সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করা হয়। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে উল্টো আমার ও আমার আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এরপর আমাদের আত্মীয় স্বজন ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ক’জন বসে আমাকে আমার বাবার বসত বাড়ির বাইরে পাশেই অন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করে দেয়। তবে এখনো সেটি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়নি। রাজন বলেন, সে জায়গায় আমি বাউন্ডারী দেয়াল টেনে টিনশেড ঘর তুলে আমার স্ত্রী-সনত্দান নিয়ে বসবাস করে আসছি। এখান থেকেও আমাকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করে আমার ভাই সুমন। গত শনিবার বিকেলে বড় ভাই সুমন ক’জন সন্ত্রাসীসহ আকস্মিকভাবে আমার বাসার দরজা জানালা ভাংচুর শুরু করে। তখন আমি ও আমার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে আসলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। সুমনের সাথে আমার দু’ বোন কাকন ও মনিরাও যোগ দেয়। সুমন আমাকে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করতে নিলে আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকে সুমন মারধর করে। তারা আমার বাসায় দেয়ালের উপর লাগানো ৮টি সিসি ক্যামেরা, ঘরে ঢুকে টিভি, আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ৰয়ৰতি হয়। খবর পেয়ে মডেল থানা থেকে একজন এসআইর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আমার বোন কাকন পুলিশের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। এরপর সদর সার্কেলের এএসপি সৈকত শাহীন ঘটনাস্থলে যান। রাজন জানান, এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে তার বড় ভাই সফিউল আলম সুমন, বোন সাজেদা সুলতানা কাকন ও সাবিহা সুলতানা মনিরাকে বিবাদী করে শনিবার রাতে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া তার সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফুটেজ তিনি পুলিশ সুপারকে দেখিয়েছেন। রাজন আরো জানান, তার বোন কাকনের স্বামী পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় তারা সে প্রভাব বিসত্দার করতে চাচ্ছে। তবে তিনি চাঁদপুরের প্রশাসন থেকে সুবিচার পাবেন বলে আশাবাদী।