শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকায় অবস্থিত জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহনের পর গননা শেষে অভিভাবক সদস্য ৪জন শিক্ষক প্রতিনিধি ১জন ও মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি ১জন কে নির্বাচিত করা হয়। জাতীয় নির্বাচনের মত জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ব্যাপক উল্লাশ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ হয়। শনিবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, শতশত অভিভাবক ও এলাকার মানুষ নির্বাচন উপভোগ করার জন্য সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। ভোটারা নিরদিধায় স্কুল গিয়ে তাদের ভোট দেন। প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিজয় তাদের নিজেদের পক্ষে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যায়। ভোটাধিকার শতভাগ নিশ্চিত করতে ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে চাঁদপুর মডেল থানার এ.এস.আই আওলাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলে অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করে। জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বদলে দিয়ে নতুনদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ভোটারা ভোট প্রদান করে তা নিশ্চিত করে। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রিজাইটিং অভিসারের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন আহম্মেদ। জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক ভোটার ৪১০জন দাতা ভোটার ১৪জন শিক্ষক ভোটার ১০ জন মোট ৪৩৪জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ২৮৩জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। শিক্ষক প্রতিনিধীর ৩জন প্রার্থীর মধ্যে মধুসূদন চক্রবর্ত্তী ও মোঃ আবু জাফর নির্বাচিত হয়। মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বনীতায় শামিমা আক্তার নির্বাচিত হয়। অভিভাবক প্রতিনিধি ১০জন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলেও এর মধ্যে আবুল হোসেন খান ১০১ ভোট রিয়াজ উদ্দিন পাটওয়ারী ভূট্টো ৯৪ভোট ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী ৮৫ভোট নুরুল আমিন শেখ ৮৩ ভোট পেয়ে মোট ৪জন নির্বাচিত করা হয়। মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধির মধ্যে রিনা বেগম ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত সকলে কে নিয়ে পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত করা হবে। ভোট গ্রহনের পর গণনা শেষে প্রাজাইডিং অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন আহম্মেদ ফলাফল প্রকাশ করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মোফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী ১৯৮৮সাল থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত ও ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কুলে দাতা সদস্য দুই পাটওয়ারীর রশি টানাটানির ফলে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে মোফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী ও বর্তমান মোঃ কামরুজ্জামান পাটওয়ারী মাখনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। অবশেষে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পর কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।