সারাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চাঁদপুরের লোনা ইলিশ অর্থাৎ সুটকি ইলিশের। বিগত ৪০ বছর যাবৎ ইলিশের রাজধানী নামে খ্যাত চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন এলাকায় চলে আসছে এ সুটকি ইলিশের ব্যবসা। এ সুটকি ইলিশের চাঁদপুরে কদর না থাকলেও দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে এর বেশ সুনাম জনপ্রিয়তা। অনেক জেলায় নুতন জামাই আপ্যায়নে সুটকি ইলিশ ছাড়া তারা কল্পনাই করতে পারে না। প্রতিবছর এ সুটকি ইলিশের ব্যবসায় অধিক পরিমাণে লাভ না হলেও যারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত তারা সুটকি ইলিশের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।
সরেজমিন বড় স্টেশন মাছঘাটে এসব ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, মাছঘাটের মালেক খন্দকার, সিডু গাজী, জাকির ও নান্টু কাদির দীর্ঘদিন ধরে এ লবন ইলিশ কিংবা লোনা ইলিশের ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসায়ী নান্টু কাদির জানায়, সে এ বছর প্রায় ৮০মন সুটকি ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করেছে। এতে তার বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮লাখ টাকা। গত বছরের শেষের দিকে এসব মাছগুলো ক্রয় করে কেটে রাখে। অর্থাৎ ভাদ্র মাস থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত। সিদ্ধপানিতে মাছগুলো প্রক্রিয়াজাত করে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করে। মে মাস আসলে অর্থাৎ ধান কাটার মৌসুমে জামালপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ এলাকার ব্যবাসয়ীদের কাছে বিক্রি করে। চাঁদপুর থেকে এসব মাছ ৫মন ওজনের বক্সে করে সরবরাহ করা হয়। তবে গত বছর এ সুটকি ইলিশ বিক্রি করে তাদের তেমন লাভ হয়নি। এবছর বিক্রিতে লাভ হবে বলে আশা করছেন।
কয়েকজন মৎস্য শ্রমিক জানায়, যে সময় নদীতে বেশী পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ে। তখন অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে অনেক ইলিশ মাছ পচে যায়। তখন কম মূল্যে এসব ইলিশ ক্রয় করে এসব ব্যবসায়ীরা। পরে এসব মাছগুলো প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করে। তবে এসব লবন ইলিশ পূর্বে বড় স্টেশন এলাকায় টুকরো টুকরো করে সংরক্ষণ করেছে। তখন বহু মহিলা শ্রমিক এসব মাছ কাটার কাজ করেছে। কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তনে প্রক্রিয়াজাতকরণ পাল্টেছে।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, জামালপুর এলাকায় নতুন ধান কাটার সময় আসলে সুটকি ইলিশের চাহিদা বাড়ে। এই মৌসুমে বাড়ীতে জামাই আসলে সুস্বাধু খাবার হিসেবে সুটকি ইলিশ রান্না করে। চাঁদপুরে লোনা কিংবা লবন ইলিশ নামে পরিচিত থাকলেও জামালপুর, ময়মিনসিংহ এলাকায় সুটকি ইলিশ নামে বেশ পরিচিত।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।