প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের ব্যবসায়িক এলাকা পুরাণবাজারে বসতঘরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। ১টির বিস্ফোরণ হলেও পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ আরেকটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাকালীপট্টিস্থ করিম হাওলাদারের ভাড়াটিয়া বসতঘর এলাকায়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সৈকত শাহীন, চাঁদপুর মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মাহবুব মোল্লা, এসআই ফারুকসহ সঙ্গীয় ফোর্স রাত সোয়া ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার লোকজনের সহায়তায় বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ এবং পরিত্যক্ত ১টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে তা বালতির পানিতে ভিজিয়ে রেখে নিষ্ক্রিয় করেন। সে সময় খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান পৌর প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বেপারী, মানবাধিকার সংগঠক আঃ রহমান হাওলাদারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। বিএনপির সমর্থক নেতা-কর্মীরাও খবর পেয়ে সেখান যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহানারা (২৫) (স্বামী নঈম আখন্দ) জানান, হঠাৎ করে হাওলাদার বাড়ির টিনশেড ঘরের চালে বিকট শব্দে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠতে দেখে চিৎকার দেন। প্রতিবেশী আফছার, মৌসুমী, নাছির, রেহানা ছুটে যান এবং পানি মেরে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। বাকালীপট্টির দোকানী আফছার (২৫) জানান, বোমার আগুন দেখে ডাক-চিৎকার শুনে তিনি সেখানে যান এবং বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ ও ওই স্থানের কাছেই কুছুর (৩০)-এর বসত ঘরের পেছনের কোণা থেকে পরিত্যক্ত আরেকটি পেট্রোল বোমার বোতল দেখতে পান। বাড়ির মালিক রহমান হাওলাদার ও কুট্টি হাওলাদার জানান, অল্পের জন্য প্রাণহানি ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে তারা রেহাই পেয়েছেন। কে বা কারা এ জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে কেউ কিছু আঁচ করতে পারছে না। নাশকতার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আবার অনেকের ধারণা, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার জন্যে একে অপরের উপর দোষ চাপাতে এ ঘটনা ঘটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। যারা নাশকতা করছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনার পর সেখানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, সংখ্যালঘুর অনেকেই ওই স্থানে বসবাস করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, কালো কাচের বোতলে লাল টেপ পেঁচানো ছিলো পেট্রোল বোমার। মুখ বন্ধ রেখে বোতল থেকে সলিতা বের করে রাখা হয়।