স্টাফ রিপোর্টার:
জনসেবায় জনপ্রশাসন পুরস্কার পাচ্ছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘সারাদেশে গৃহহীন থাকবে না কেউ’ এমন বক্তব্যকে আইডিয়া হিসেবে কাজে লাগিয়ে হাজীগঞ্জে গৃহহীনদেরকে গৃহপ্রদানের কারণে পুরস্কার পাচ্ছেন এই কর্মকর্তা। আগামীকাল ২৩ জুলাই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করবেন বৈশাখী বড়ুয়া।
গত ১৮ জুলাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব ফয়েজ আহম্মদের স্বাক্ষরে ও ৩০৮নং স্মারক সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়াকে দায়িত্ব পালনকালে জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জেলা পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদক ২০১৮-এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
একই সূত্রে আরো জানানো হয়, আগামীকাল ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জনপ্রশাসনের বিরল এই পুরস্কার গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই কর্মকর্তাকে।
এক প্রতিক্রিয়ায় চাঁদপুর কন্ঠকে বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, আমার এই পুরস্কার হাজীগঞ্জবাসীর জন্যে সম্ভব হয়েছে। আর এজন্যে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি স্যার, সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, বর্তমান জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ যারা আমাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গৃহ তৈরিতে টাকা কিংবা ঘর করে দিয়েছেন, উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক মহলসহ যারা এই সকল কাজে শারীরিক ও মানসিকভাবে আমাদেরকে উৎসাহ জুগিয়েছেন তাদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় হাজীগঞ্জের সাবেক ইউএনও মাহবুবুল আলম মজুমদার উপজেলায় গৃহহীনদের তালিকা তৈরি করে স্থানীয় বিত্তশালীদের কাছ থেকে গৃহ তৈরির সহায়তা চান। সেই ধারাবাহিকতায় মাহবুবুল আলম মজুমদার প্রায় অর্ধশত গৃহ প্রদানের পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি হয়ে যান। এর পরেই হাজীগঞ্জের নতুন ইউএনও হিসেবে বৈশাখী বড়ুয়া যোগদান করে নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় বৈশাখী বড়ুয়া বিভিন্ন ব্যক্তির অর্থায়নে গৃহহীন প্রায় দু শ’ পরিবারকে গৃহ বুঝিয়ে দিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। গৃহপ্রদানের সাথে গৃহহীন পরিবারগুলোর সদস্যদেরকে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা, পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আনা, ভিজিএফ ভিজিডি কার্ড প্রদান, সেলাই মেশিন, সৌর বিদ্যুৎ বিতরণসহ নানা সুবিধা প্রদান করেন। এই প্রক্রিয়া নিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠে বেশ কটি সচিত্র সংবাদ ছাপা হয়।