২০২২ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক দূরীকরণের লক্ষ্যে ব্যাপক হারে কুকুরদের মাঝে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল এ লক্ষ্যে চাঁদপুর পৌর এলাকায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পৌর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীগণ ১০ টি ভাগে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা কুকুরদের শরীরে ভ্যাকসিন পুশ করেন। এ ভ্যাকসিনের কারণে কুকুরের কামড়ে কেউ আর জলাতংক রোগে আক্রান্ত হবে না বলে জানান চাঁদপুর পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর অরুপ কুমার শ্যাম। তিনি বলেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় আমরা পৌর এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। গতকাল ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পৌর এলাকার সকল ধরনের কুকুরের শরীরে এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
গতকাল দেখা যায়, যে সকল কুকুরের শরীরে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে তাদেরকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে।
ইদানীংকালে পৌর এলাকার রাস্তাঘাট, পাড়া, মহল্লার বিভিন্ন স্থানে কুকুরের বেশ উপদ্রব দেখা দিয়েছে। রাত্রিকালীন কুকুরের ভয়ে রাস্তা চলাচলে হিমশিম খেতে হচ্ছে পথচারীদের। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কুকুরদের দল বেঁধে বসে থাকতে দেখা যায়। পাশ দিয়ে কেউ যেতে চাইলে বা দলছুট কোনো কুকুর দেখলে তারা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে আসে এবং তাদের ঘেউ ঘেউ ডাক-চিৎকারে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। কামড় দেওয়ার ভয়ে অনেকেই এদেরকে প্রতিরোধের মানসিকতা হারিয়ে ফেলে। পৌরবাসী এ সকল বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষায় পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।