ময়মনসিংহ শহরে আজ শুক্রবার ভোরে জাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে যে ২২ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ২০ জনই নারী। নিহত ব্যক্তিদের দুই শিশু রয়েছে। তারা হলো ছিদ্দিক (১২) ও লামিয়া (৫)।
শহরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলামের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ২২ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২১ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে লামিয়া ও ছিদ্দিক নামের শিশু রয়েছে। বাকি ২০ জন বিভিন্ন বয়সী নারী।
ওসির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ১৯ জন হলেন ফজিলা বেগম (৭৫), হাজেরা (৭০), রহিমা বেগম (৬৫), ফাতেমা বেগম (৬০), রিনা রানী দে (৬০), সৃষ্টি রানী সরকার (৫৫), জোহরা খাতুন (৫২), নাজমা বেগম (৫০), খোদেজা (৫০), হামিদা বেগম (৪৫), ফাতেমা বেগম (৪২), সখিনা (৪২), শাহারন বেগম (৪০), রিজিয়া আক্তার (৪০), মমতাজ বেগম (৪০), সুফিয়া বেগম (৩৫), সামু বেগম (৩৫), আদুরি বেগম (৩৫) ও রুবিয়া আক্তার (২২)। অপর জন অজ্ঞাতনামা নারী।
পদদলনের ঘটনা সম্পর্কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তীর ভাষ্য, এলাকার ব্যবসায়ী ও নুরানি জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক শামীম তালুকদার প্রতি বছরই জাকাতের কাপড় দেন। আজ তাঁর বাড়িতে জাকাতের কাপড় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় নির্ধারণ করা ছিল না। এ কারণে সেহেরির পর থেকে সেখানে দুস্থ মানুষের ভিড় জমতে থাকে। শামীম তালুকদারের বাড়ির সামনের রাস্তাটি তেমন চওড়া নয়। অতিরিক্ত মানুষের চাপ ঠেকাতে ভোর পাঁচটার দিকে ওই বাড়ির প্রবেশ ফটক খুলে দেওয়া হয়। এ সময় হুড়োহুড়ি করে বাড়ির ভেতর ঢুকতে গিয়ে কেউ কেউ পড়ে যান। এতে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, ওই ঘটনার পর স্বজনেরা নিহতদের লাশ নিয়ে যায়। এ কারণে এ দুর্ঘটনায় ঠিক কত জন নিহত হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় এসব লাশের ময়নাতদন্ত প্রয়োজন। এ জন্য স্বজনদের নিয়ে যাওয়া লাশগুলো উদ্ধার করতে পুলিশ বিভিন্ন বস্তিতে তল্লাশি চালাচ্ছে।