শামসুজ্জামান ডলার:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জাটকার জেলে চিহ্নিতকরণে ব্যাপক অনিয়মের কারণে প্রকৃত অনেক জেলেই হয়েছে সুবিধা বঞ্চিত। ফলে উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বঞ্ছিত অর্ধশত জেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরকার মত্স্য সম্পদ ইলিশ পোনা জাটকা রক্ষার্থে নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত জাটকা না ধরা এবং উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত মেঘনা নদীর এই ৩০ কিঃমিঃ অঞ্চলকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে মার্চ-এপ্রিল ২ মাস নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু জেলে চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের কারনে সরকারের মূল উদ্দেশ্য অনেকাংশেই ভেস্তে যাচ্ছে।
প্রকাশ, উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার মধ্যে ফরাজীকান্দি, জহিরাবাদ, এখলাছপুর, মহনপুর, কলাকান্দ, ষাটনল এই ৬ ইউনিয়ন ও ছেংগারচর পৌরসভার কিয়দাংশ অভয়াশ্রমের মেঘনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এই অঞ্চলের জেলেরা প্রকৃত জাটকা অঞ্চলের জেলে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার ৪ হাজার ৫০০ জেলের মধ্যে প্রকৃত পক্ষে ৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভাংশের ৩ হাজার ৩৯২ জেলে জাটকা অঞ্চলের জেলে ।
কিন্তু উপজেলার বাকী ইউনিয়নগুলোর ১ হাজার ১০৮ জেলে জাটকা অঞ্চলের জেলে না হওয়া সত্বেও তারাও ফেব্রুয়ারী-মে পর্যন্ত ৪ মাস জেলে প্রতি ৩০ কেজি করে সরকারী চাল পাচ্ছে। এমন কি জাটকা অঞ্চলের জেলে তালিকার মধ্যে ভিন্ন পেশার বেশ কিছুর লোকের নাম জেলে তালিকায় উঠলেও বাদ পড়েছে প্রকৃত কিছু জেলের নাম এবং তারাই এখন নদীতে না নামার জন্য দেয়া সরকারী সুবিধা বঞ্চিত হবার কারনেই ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা বলেন, সরকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের তালিকা করে পরিচয়পত্র দেয়ার কাজ করছে। যা সম্পন্ন হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না বলে আশা করছি।