মোঃ জামাল হোসেন ॥
জাতীয় করণের তালিকায় মেহের ডিগ্রি কলেজের নাম না থাকায় কলেজ শিক্ষার্থীরা জাতীয় করণের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। রোববার সকাল ১০টায় কলেজ শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
কলেজ শিক্ষার্থীরা জানায়, মেহের ডিগ্রি কলেজ অত্র উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, ভাল ফলাফল, অধিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা, সহ-শিক্ষা সমন্বিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। যে কারণে জাতীয়করণে মেহের ডিগ্রি কলেজ অগ্রাধিকার বহন করে।
কলেজ শিক্ষকগন জানান, মহান স্বাধীনতার পর এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিগ্রিতে উন্নীত করা হয়। এ কলেজে সর্বসাকুল্যে ২ হাজার ৩শ ২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা প্রতিদিন কলেজে আসা-যাওয়ায় উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। উপজেলা-দোয়াভাঙ্গা সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার প্রথম মহাবিদ্যালয়ের স্মৃতি বহন করছে। এ কলেজটিকে “জাতীয়করণ করা হউক” এমন প্রাণের দাবী একযোগে ব্যক্ত করেন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এম.এ মান্নান মোল্লা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল কাইটেরিয়ার আলোকে মেহার ডিগ্রি কলেজই একমাত্র দাবীদার- সরকারী তালিকাভূক্ত হওয়া। নন্দিত ও গনমানুষের নেতা মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের সু-নজরই পারে ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও এলাকাবাসির প্রাণের এ দাবী পূরণ করতে।
অপর সদস্য শাহ মোহাম্মদ আলী বলেন, সরকারী নিয়মানুযায়ী এ কলেজটি সরকারী তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য সকল উপকরণ সমৃদ্ধ। শিক্ষক- শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকার গুনীজনসহ গভর্নিং বডির সবার প্রাণের দাবী-এ কলেজটিকে জাতীয়করণ করার।
অভিভাবক, এলাকাবাসি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, সকল রাজনীতির উর্দ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তরান্বিত করতে সকলের একযোগে কাজ করা উচিত।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কলেজের পক্ষ হতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করা হলেও কলেজ অধ্যক্ষ তাতে স্বাক্ষর করেন নি। যে কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়।