জাতীয় পার্টিতে বিভ্রান্তি চরমে পৌঁছেছে। দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিদেশে পাঠানোর খবরে আরও জট পাকিয়েছে দলটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি। এরশাদের অবর্তমানে দলের হাল ধরবেন কে, এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। এরশাদ বর্তমানে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ‘আটক’ আছেন।
বিতর্কের সূত্রপাত হয় আজ বৃহস্পতিবার। আর সূত্রপাত করে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী লোকমান হোসেন খোকা ও সিলেট-৫ আসনের প্রার্থী সেলিম উদ্দীনের বক্তব্য। সেলিম বলেছেন, ‘পিতার (এরশাদ) অনুমতিতে ও মাতার (রওশন এরশাদ) নির্দেশে তাঁরা নির্বাচনে যাচ্ছেন। দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। তিনিও নির্বাচনে আছেন।’ এ বিষয়ে মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার কোনো মন্তব্য করেননি।
এখান থেকে এই ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল যে এরশাদের পরে জাতীয় পার্টিতে তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদই শেষ কথা।
কিন্তু এরশাদের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি বিভ্রান্তি তৈরি করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে এরশাদ বলেছেন, ‘…আমি বর্তমানে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অন্তরীণ অবস্থায় আছি। আমি আরও আশঙ্কা করছি যে, আমাকে যেকোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশ ও দলের স্বার্থে জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার-কে দায়িত্ব প্রদান করছি।’
বিজ্ঞপ্তিটির স্বাক্ষর এরশাদের কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে রুহুল আমিন হাওলাদার ও জিএম কাদের কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তাঁরা পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।