ঢাকা : যুদ্ধাপরাধের মামলায় কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় যে কোন দিন কার্যকর করা হবে। তাই কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসার পর থেকেই জামায়াত নেতাদের মধ্যে এই ধারণা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফাঁসি কার্যকর করার পর জানাযায় অংশ নিতে সরকার কোন প্রকার বাধাদেবেনা বলে জামায়াত নেতারা আশা করছেন।
জামায়াতের এই নেতা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার কোন আবেদন করা হবে না বলে পরিবারের পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলীয়ভাবেও একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আজমের জানাযায় সরকার কোন বাধা না দেয়ায় কামারুজ্জামানের জানাযাও সরকার একই আচরণ করবে বলে মনে করছেন নেতারা।
কামারুজ্জামানের জানাযা ও দাফন হবে নিজ জেলায় প্রথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সেজন্য জানাযায় অংশ নিতে আগ্রহী নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ উদ্যোগে তার জেলায় (শেরপুরে) যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লাশের সাথে কোন নেতা-কর্মীর যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা না দেখানোর জন্যও বলা হয়েছে।
কামারুজ্জামান পুরোপুরি নির্দোষ বলছেন জামায়াত, তার নিজ গ্রাম বিধবাপল্লী নামের সোহাগপুর গ্রামের কথা বলা হচ্ছে তার জীবনে কখনো সেখানে যায়নি কামারুজ্জামান। শুধু শেরপুরে কেন তার নিজ বাড়ি ও গ্রাম ছাড়া অন্য কোন এলাকাকেও তিনি খুব একটা চেনেন না। এমনকি শেরপুরের মানুষজনও তাকে খুব একটা চেনে না। তাই তাদের প্রশ্ন হলো এতবড় আলবদর নেতাকে কেন শেরপুরের সাধারণ মানুষ চিনবে না?
জামায়াত নেতারা আরো বলেন, কামারুজ্জামানের বাড়ি শেরপুর একথা তার নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগে স্থানীয় অনেকেই জানতেন না। ৭১ সালে শেরপুর-ময়মনসিংহের এতবড় আলবদর নেতা কিভাবে স্থানীয়ভাবে অপরিচিত ব্যক্তি হলেন সে প্রশ্ন কি আসে না?
সূত্র জানিয়েছে, জামায়াত নেতারা বলেন কামারুজ্জামান কে সম্পূর্ণ ‘অন্যায়ভাবে ফাঁসি’ দেয়া হলেও তারা তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় এবং সরকার বিরোধী আন্দোলন করায় জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য কর্মী পঙ্গু হয়েছে এবং অনেকে শহীদ হয়েছেন। আর কারাগারে রয়েছেন নীতিনির্ধারকদের অনেকেই। সরকারের নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জামায়াত আর্থিক, শারীরিকভাবে স্মরণকালে এতো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কখনো হয়নি। যেহেতু সরকার প্রতিবাদের ভাষার জবাব দিচ্ছে বুলেটে। তাই দলের কর্মী বাহিনীর যেন আর ক্ষতি না হয় সেদিকেই লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। সত্য, ন্যায় ও ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে জামায়াত দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।