স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর বাসষ্টেশানস্থ জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিকের ডাক্তর শরীফ মোঃ নূরুল আমীনের চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান এর কাগজ পত্র সঠিক না থাকা ও তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেদ মোঃ কামাল এর নেতৃত্বে এক ভ্রাম্যমান আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকের সকল ওষুধ জব্দ করেছে।
এর পূর্বে গত ১১ তারিখ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক তালা বন্ধ করে দিলেও সে ম্যাজিষ্টেট এর নির্দেশ অমান্য করে প্রতিষ্ঠান চালু করলে ভ্রাম্যমান আদালত এ জরিমানা করে। ডাক্তর শরীফ মোঃ নূরুল আমীনের জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিকের টিভি বিজ্ঞাপন বন্ধো করার জন্য ডাক্তারকে নির্দেশ দিলেও সে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নির্দেশকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ক্যাবল টিভি চ্যানেলে দেদারছে বিজ্ঞাপন প্রচার করতেছে।
জানা যায়,চাঁদপুর বাসষ্টেশন্থ ফয়শাল শপিং কমপ্লেক্্র এর নীচ তলায় জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক ড্রাগ লাইসেন্স,রেজিষ্ট্রেশান সনদ ও টিন সার্টিফিকেট ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীন।তার চিকিৎসা সেবা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না থাকার কারনে গত ১১ জানুয়ারী চাঁদপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ সাদিদ ও রাসেদ কামাল এর যৌথ অভিযানে জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক ও ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীনের চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেদেন।
একটি সূত্র জানা গেছে, ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীন রোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন রকম প্রতারনা করে আসছে,পাইলস,টিউমার,নাকে পলিপাস ৩দিনে ভালো করেদিবেন বলে ১০-২০ হাজার টাকা চুক্তি নিয়ে চিকিৎসা করেন,এতে রোগীদের রোগতো ভালো হয় না বরং রোগ বৃদ্ধি পায়।আর তার এ সব রোগী সংগ্রহের জন্য এলাকা ভিত্তিক দালাল নিয়েগ করে রেখেছেন,যে দালাল রোগী নিয়ে আসে তাকে ৪০% টাকা দিয়ে দেয়।
বেশ কিছু মহিলা দালাল আছে যারা মহিলা রোগী সংগ্রহ করে, বিশেষ করে প্রবাসে স্বামী থাকে এমন মহিলা রোগী সংগ্রহ করে থাকে যাতে তাদের কাছ থেকে টাকা বেশী করে নেওয়া যায়, এতে ডাক্তার ও দালাল উভয়েরই লাভ বেশী।
জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক এর বিজ্ঞাপন চাঁদপুরের ক্যাবল নেটওয়্যার্ক টিভি চ্যানেলে দিন রাত ২৪ ঘন্টা প্রচার করে থাকে,এ বিজ্ঞাপন দেখে সরলমনা রোগীরা দ্রুত রোগ মুক্তির জন্য ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীন এর স্বরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়।মহিলা ডাক্তার সহকারী দ্বারা মহিলাদের চিকিৎসা করা হয় বলে প্রচার করে কিন্তু যে মহিলা তার প্রতিষ্ঠানে আছে সে তার ক্লিনিক ছাড় মোজা করে এবং চা তৈরী করে ।সে কোনো মহিলা রোগীর চিকিৎসা করে না।সকল রোগীর চিকিৎসা ডাক্তার নিজেই করেন এটাও তার প্রতারনা মহিলা রোগীদেরকে আকৃষ্ট করার কারন অনেক মহিলা আছে মহিলা ডাক্তার ছাড়া চিকিৎসা করতে চান না, তাই আয়া হিসেবে মহিলাকে রেখে ডাক্তার সহকারী বলে প্রতারনা করতেছে।