চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
সরকার দলীয় লোকজন ও প্রশাসনের ক’জন অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় ভূমিদস্যু চক্রের বায়নাপত্র রেজিস্ট্রি ও সাফ কবালা সম্পন্ন
চাঁদপুর শহরে জাল দলিলের মাধ্যমে একটি ভূমিদস্যু চক্র ৫০ শতাংশ মূল্যবান ভূমি নীল নক্সার মাধ্যমে আত্মসাতের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দুঃসাহস দেখিয়ে চলছে। এ চক্রটি সরকার দলীয় লোকজনের প্রভাবে প্রশাসনের অসাধু কর্তাব্যক্তিদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে ৯ শতাংশ ভূমির সাফ কবালা এবং ৪১২৩ শতাংশ জায়গার বায়না রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, চাঁদপুরের কতেক ভূমিদস্যু, দলিল লিখক ও কতেক সন্ত্রাসী সরকারি কর্মকর্তাগণকে অবৈধভাবে বাধ্য করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের ‘ক’ তফসিল ভূমি কুমিল্লা সদর রেজিস্ট্রি অফিসে ০৩/০৩/১৯৫৪ সনের ২৪১০নং জাল দলিল মূলে চাঁদপুর শহরের পুরাণ আদালত পাড়াস্থ আয়কর উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার গুহ এবং তার ভাতিজা অনুপ গুহসহ অন্যান্য ক’জন মিলে বকুলতলা রোড, কুমিল্লা রোড ও স্ট্র্যান্ড রোডের প্রায় ৫০ শতাংশ ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা করছে। অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের পিতা আবুল বাশার মজুমদারের .০৪৫০ একর ভূমি ১৯৫৯ সনে ১৪নং ডিরিকুইজিশান কেসমূলে ৯১নং চাঁদপুর মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার এস.এ. খতিয়ান নং-১৫০৪/২১৪৪, ১৭১৭ এবং এস.এ. ৫১৮৪ ও ৫১৮৫ দাগে দখলপ্রাপ্ত হয়। ১৯৮১ সনে অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার চাঁদপুর আসনে। এর পূর্বে ১৯৭১ সন হতে ১৯৯৫ সন পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের পিতা মরহুম আবুল বাশার মজুমদার মামলা পরিচালনা করে বহু টাকা ব্যয় করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সনে উক্ত দাগের পেছনের অবশিষ্ট সম্পত্তি সরকারের পক্ষ হয়ে সকল মামলা আদালতের রায় পেয়ে অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দখলে যান। অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের পিতা ১৯৯০ সনে অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারকে উক্ত সম্পত্তি দান করে যান। অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার অদ্যাবধি দখলে থেকে হালসন পর্যন্ত সরকারি টাকা পরিশোধ করে আসছেন। উক্ত দাগে বাকি জায়গার মধ্যে ফটিক চন্দ্র রায় কিছু অংশ দখলে আছেন এবং তার মৃত্যুর পর গৌতম চন্দ্র রায় সপরিবারে দখলে আছেন। হালসন পর্যন্ত তারা সরকারি টাকা পরিশোধ করে আসছেন। উক্ত দাগের কিছু অংশ ফজলুর রহমান দখলে আছেন। তার মৃত্যুর পর তার মেয়েরা দখলে আছেন এবং হালসন পর্যন্ত সরকারি টাকা পরিশোধ করে আসছেন। ঐ দাগের কিছু অংশ আঃ মান্নান বেপারী এবং দুদু মিজি ভোগ দখলে আছেন এবং হালসন পর্যন্ত সরকারি টাকা পরিশোধ করে আসছেন।
কুমিল্লা রোডস্থ মরহুম আবদুল আলী মুন্সী ও তার স্ত্রী লুৎফা বেগম বিগত ১৬/০৯/১৯৫৮ তারিখে ৭৯৭৪নং দলিলমূলে খরিদ সূত্রে .২১৯৫ একর ভূমির মালিক হন এবং লুৎফা বেগম মৃত্যুর পূর্বে তার ৪ মেয়েকে তার অংশের সম্পত্তি দান করে যান। এছাড়া মরহুম আঃ আলী মুন্সী ১৩২২/ক সি.এস. এবং এসএ ১৬৫৬ ও ১৬৫৭ নং খতিয়ানের ১৯৪১ শতাংশ সম্পত্তি ১৭/১০/৬৩ খ্রিঃ তারিখ নিলাম খরিদ করত মালিক দখলকার থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার চার কন্যা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। তারা উক্ত সম্পত্তিতে দখলে আছেন এবং হালসন পর্যন্ত সরকারি টাকা পরিশোধ করে আসছেন। ৯১নং চাঁদপুর মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার ১৬৫৯ নং খতিয়ানে ৫১৭৫ ও ৫১৭৬ দাগের সম্পত্তি প্রথমে মরহুম এ.কে. ফজলুল হক এবং পরবর্তীতে তার স্ত্রী ছালেহা বেগম ভোগ দখল করে আসছেন এবং যথারীতি হালসন পর্যন্ত সরকারি টাকা পরিশোধ করে আসছেন। উক্ত দাগের কিছু অংশ মরহুম খন্দকার লুৎফর রহমানের দখলে ছিল। পরবর্তীতে তার একমাত্র ছেলে খন্দকার ফয়সাল হোসেন ছাব্বির দখলে আছেন এবং যথারীতি হালসন পর্যন্ত সরকারি টাকা পরিশোধ করে আসছেন। ১৯৫৯ খতিয়ানের ৫১৭৫/২৪৩৬ দাগের সম্পত্তি বাবুল চন্দ্র শীল দখলে থেকে হালসন পর্যন্ত সরকারি টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন।
উল্লেখিত সবাই নিজ নিজ দখলে থাকা ও সরকারি টাকা যথারীতি পরিশোধ করার পরও প্রদীপ কুমার গুহ এবং তার ভাতিজা অনুপ কুমার গুহ ও তাদের সহযোগীরা ১৯৫৪ সনে কুমিল্লা জয়েন্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ০৩/০৩/১৯৫৪ তারিখে দলিল নং-২৪১০ মূলে কিভাবে মালিক হন সেটা সচেতন মহলের প্রশ্ন। ৫৯ বছর পর এসে তারা উল্লেখিত দলিলমূলে উক্ত সম্পত্তি দাবি করে মামলা দায়ের করে যা সম্পূর্ণ জালজালিয়াতি ছাড়া আর কিছুই নয়। ১৯৫৪ সনে চাঁদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একমাত্র ২৪১০নং দলিলের দাতা মুজফ্ফর আলী প্রধানীয়া পিতা আঃ হাকিম প্রধানিয়া, সাং-মনোহরখাদি এবং গ্রহীতা মুজফ্ফর আলী প্রধানীয়া পিতা মৃত-আকবর আলী প্রধানিয়া, সাং-মনোহরখাদি উক্ত দাতা/গ্রহীতাদ্বয়ের মধ্যে একটি এগ্রিমেন্ট দলিল রেজিস্ট্রি হয়। যা সরকারি ১৪নং বালামের ১০৪ হতে ১০৫নং পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। উক্ত বালাম কুমিল্লা জেলা রেকর্ড রুমে রক্ষিত আছে। অপরদিকে কুমিল্লা সদর জয়েন্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ২৪১০ নং দলিলের ঘটনা হচ্ছে : আবদুর রশিদ খান মজলিস সহকারী পরিদর্শক, জেলা দুর্নীতি দমন সংস্থা, কুমিল্লা, তিনি বাদী হয়ে মোঃ জাবেদ আলী, সুজ্জত আলী, রেছাত আলী ও আয়েত আলী, সর্বসাং-কুমিল্লার বুড়িচং থানার গারুচো গ্রামে এদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ এবং ২নং দুর্নীতি দমন আইনে ৫ (২) ধারা/ ১৯৮৫ সন কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় বাদী হয়ে ১৮/০৯/১৯৮৫ তারিখে এক জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন, দলিল নং-২৪১০-এর বিরুদ্ধে। উক্ত দলিল ০৩/০৩/১৯৫৪ তারিখে কুমিল্লা জয়েন্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা হয়। মামলার নাম্বার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ০৭/১৯৮৭। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এনায়েতুর রহমান চৌধুরী একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তিনি উল্লেখ করেন যে, জনৈক ছমির উদ্দিন (কুমিল্লা বুড়িচং থানার) তার দাদা হতে দানপত্র সূত্রে প্রাপ্ত জমির কিছু অংশ তার দুই ভাই মফিজ উদ্দিন এবং আফাজ উদ্দিনকে দান করেন। যার দলিল নং-২৪১০, ঐদিন আরও একটি বন্টননামা দলিল রেজিঃ করেন যার নং-২৪১১ তাং-০৩/০৩/১৯৫৪ খ্রিঃ যার বালাম নং-২৬ পৃষ্ঠা নং-৭৩-৭৮ পর্যন্ত, যা বালাম বইতে লিপিবদ্ধ ছিল যা ছিঁড়ে গুম করে ফেলা হয়। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিবাদীগণ ১৭/০৯/১৯৮৪ তারিখের পূর্বে যে কোনো সময় রেকর্ড রুমের লোকজনের সহযোগিতায় উক্ত অপকর্ম করেছে বিধায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট নং ৬১, তাং-২৫/০৩/১৯৮৬ ধারা-৪২০/৪৭৭/১০ দণ্ডবিধি মোতাবেক চার্জশীট দাখিল করেন। বিগত ১৩/০৫/২০১৩ খ্রিঃ তারিখে প্রদীপ গুহ গং জনৈক সানা উল্যা মুন্সীকে একটি আমমোক্তারনামা দেন, যার নাম্বার হচ্ছে ৪৪৯৪/১৩। উক্ত সানা উল্যাহ মুন্সী পরবর্তীতে তার স্ত্রী ফয়েজুন্নেছার নামে ১৫/৭/২০১৩ খ্রিঃ তারিখে উক্ত সম্পত্তি বায়না করেন। পরবর্তীতে বিগত ২৭/১০/১৩ খ্রিঃ তারিখে ৮২৪৮/১৩ খ্রিঃ দলিল মূলে স্ত্রীর নামীয় বায়নাপত্র বাতিল করেন। ঐদিনই আরেকটি বায়নাপত্র সৃষ্টি করে যার নং-৮২৪৯/১৩ খ্রিঃ সেই বায়নাপত্রের দাতা সানা উল্যা মুন্সী গ্রহীতা তার স্ত্রী ফয়জুন্নেছা এবং হারুন অর রশিদ হাওলাদার উক্ত বায়নাপত্র বাতিল না করে পরবর্তীতে চাঁদপুর সাব-রেজিস্টিারে বিগত ১১/০৮/১৪ তারিখে সানাউল্লা মুন্সী দাতা হয়ে ঢাকাস্থ অ্যাপোলো প্রপার্টিস এন্ড বিল্ডার্স-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আতিকুল হক পিতা ড. সামছুল হক ভূঁইয়া চাঁদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৯ শতাংশ ভূমি ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা একক গ্রহণ করে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন যার দলিল নং-৭৩৭০/১৪ এবং ঐদিনই উক্ত সানা উল্লা মুন্সী দাতা হয়ে ড. সামছুল হক ভূঁইয়ার ছেলের নিকট হতে ২,১৯,০০,০০০/- (দুই কোটি উনিশ লক্ষ) টাকা গ্রহণ করে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ৪১২৩ শতাংশ জায়গা বায়না করে। যার দলিল নং-৭৩৭১/১৪ খ্রিঃ যা সম্পূর্ণ জালজালিয়াতিসহ ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে। উক্ত সানা উল্লা মুন্সী বিগত ১৩/০৯/১৩ খ্রিঃ তারিখে এসিল্যান্ড চাঁদপুর অফিসে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং-০৯/১৩ খ্রিঃ। যার বাদী হচ্ছে সানা উল্যাহ মুন্সী। উক্ত মামলা বিগত ১৩/০৯/১৩ খ্রিঃ তারিখে খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত সানা উল্লা মুন্সী উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে এ.ডি.সি রেভিনিউ কোর্টে আপীল দায়ের করেন। যার নাম্বার ৬৪/১৩ খ্রিঃ। উক্ত মামলাটিও বিগত ১৮/০৩/১৪ খ্রিঃ তারিখে খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত সানা উল্লা মুন্সী বাদী হয়ে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন, যার নং-১২৩০/১৩ খ্রিঃ। উক্ত মামলাও বিগত ৩০/১২/১৩ খ্রিঃ তারিখে খারিজ হয়ে যায়। উক্ত মামলা দুটিতে এসিল্যান্ড এবং অফিসার ইনচার্জ চাঁদপুর সরজমিনে তদন্ত করে সানা উল্লা মুন্সীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত সানা উল্লা মুন্সী পরবর্তীতে যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১-এ ৬২/১৩ খ্রিঃ দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাও বিগত ০১/১২/১৩ খ্রিঃ তারিখে খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সানা উল্যাহ মুন্সী জেলা জজ আদালতে একটি আপীল মামলা দায়ের করেন, যার নং-৪৭/১৩ খ্রিঃ। উক্ত মামলাও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ১৯/০৫/১৪ খ্রিঃ তারিখে খারিজ করে দেন।
প্রকাশ থাকে যে, জেলা জজ বাহাদুর সাহেব তাঁর আদেশে ৪৪৯৪/১৩ খ্রিঃ আমমোক্তরনামাটি সানা উল্লা মুন্সী অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তৈরি করেছেন বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে সানা উল্যা মুন্সীর স্ত্রী ফয়জুন্নেছাকে বাদী করে এ.ডি.এম কোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং-৭৩১/১৪। উক্ত মামলাটিও খারিজ হয়ে যায়। উক্ত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চাঁদপুরে মোকদ্দমা নং-৪০১/১৩ খ্রিঃ দায়ের করা হয়েছে যা চলমান। প্রদীপ গুহ গং ৩/৩/১৯৫৪ খ্রিঃ তারিখে সাফ কবালা নং ২৪১০ জাল দলিল দিয়ে দখলে না থাকার পরও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় সরকারি সম্পত্তি এবং ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি প্রচুর টাকার বিনিময়ে আবদুল আলী মুন্সীর নামীয় ১৬৬৪ ও ১৬৫৬নং নামজারী ও খারিজ খতিয়ান ও দাখিলা দেখিয়ে একই দিনে ২টি দলিল করেন, যা সম্পূর্ণ জাল এবং জালিয়াতি। আরো প্রকাশ থাকে যে, উক্ত ২৪১০ নাম্বারে আরও কয়েকটা জাল দলিল দিয়ে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দাতা গ্রহীতার নামে জাল দলিল তৈরি করেছেন। যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। বর্তমানে ২৪১০ দলিলটি দিয়ে চাঁদপুরের বহু সম্পত্তি গ্রাস করার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রায় পাঁচটি মামলা জেলা দায়রা জজ ও সাব-জজ কোর্টে চলতি অবস্থায় আছে। উক্ত ঘটনা সম্পূর্ণ দুর্নীতির শামিল। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দুর্নীতি দমন কমিশন চাঁদপুরের ভূমিদস্যু এবং দুর্নীতিবাজ নিম্নের ব্যক্তিবর্গকে গ্রেফতার করলে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পাবে। এরা হচ্ছেন : প্রদীপ কুমার গুহ পিতা মৃত মনরঞ্জন গুহ, অনুপ কুমার গুহ পিতা মৃত-তাস চন্দ্র গুহ, সানা উল্লা মুন্সী পিতা মৃত-আঃ মজিদ মুন্সী, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, পিতা মৃত-রুস্তম আলী হাওলাদার, ফয়জুন্নেছা স্বামী-সানাউল্লা মুন্সী, শহীদুল্লা পাটোয়ারী পিতা মৃত-হাছান আলী পাটোয়ারী, সন্তোষ দাস পিতা মৃত-নগেন্দ্র দাস, শাহজাহান সর্দার সাব-রেজিস্টার, চাঁদপুর, দলিল লেখক মোঃ শাহজাহান, লাইসেন্স নং-৫৭ ও মোঃ আতিকুল হক পিতা ড. সামছুল হক ভূঁইয়া, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাপোলো প্রপার্টিজ এন্ড বিল্ডার্স লিঃ, দিলকুশা, মতিঝিল। তদন্তকালে আরো বহু ভূমিদস্যুদের নাম প্রকাশ পাবে।
উক্ত সম্পত্তিতে প্রায় ৬০ বছর ঊর্ধ্বকাল যাবৎ জনাব ফজলুর রহমান, অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার, গৌতম চন্দ্র রায়, আব্দুল মান্নান বেপারী, দুদু মিয়া, আবদুল আলী মুন্সী, এ.কে. ফজলুল হক, খন্দকার ছাব্বির হোসেন, বাবুল চন্দ্র শীল ভোগ দখলে আছেন এবং যথারীতি সরকারের ট্যাক্স ও সরকারি টাকা হালনাগাদ পরিশোধ করে আসছেন এবং পৌরকর, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল, পানি বিল, টেলিফোন বিল পরিশোধ করে আসছেন। বিগত ১১/০৮/১৪ খ্রিঃ তারিখে দলিল নং-৭৩৭০/১৪ খ্রিঃ এবং ৭৩৭১/১৪ খ্রিঃ দলিলসহ সকল মামলার কাগজপত্রাদি পর্যালোচনাসহ এসিল্যান্ড এবং অফিসার ইনচার্জ-এর তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন কোর্টের আদেশ পর্যালোচনা করলে সকল জাল জালিয়াতির রহস্য উদ্ঘাটন হবে। সানাউল্লা মুন্সী গং সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে যে কোনো সময়ে দীর্ঘদিন দখলে থাকা লোকদেরকে উচ্ছেদ করে জোরপূর্বক দখলে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। দখলে থাকা ব্যক্তিবর্গ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোনো সময়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ খুন খারাবি হওয়ার আশঙ্কা বিরাজমান বিধায় সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় ভূমি মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি এমপি, দুর্নীতি দমন কমিশন, সি.আই.ডি, ঢাকা, জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর, পুলিশ সুপার চাঁদপুর, ওসি চাঁদপুর, মেয়র, চাঁদপুর পৌরসভা, সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকবৃন্দ বরাবরে সকল কাগজপত্রের কপিসহ অভিযোগের কপি প্রেরণ করা হয়েছে।