স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের ঐতিহ্যবহী বানিজ্যিকা এলাকা পুরণাবাজার মধুসূূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবের ৯ম দিনের কার্যক্রম শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সন্ধা ৬টায় থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বিজয় উৎসব মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজয় উৎসব স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব বা বিজয় মেলা করার পেছনে আমাদের একটা উদ্দেশ্য আছে। এই উৎসব করার উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রযন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরা। যাতে করে আমাদের সন্তাররা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের এই ৩০ লাখ প্রাণের দামে কেনা স্বাধীনতার মূল্য অনেক বেশী। পৃথীবির অনেক জাতি আছে যারা গর্বিত না। তাদের গর্ব করার মতো কিছু নেই। অথচ বাঙ্গালী জাতী হিসেবে আমাদের গর্ব করার মতো অনেক কিছু আছে। বিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য এবং মাটির জন্য জীবন দিয়েছি। এই স্বাধীনতার ঘোসনা কেউ চট্টগ্রাম থেকে বাশিতে ফুঁ দিয়ে দেয়নি। স্বাধীনতা এসেছে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে আহ্বানে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বুজতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের সাথে থাকলে আমোদের ভাগ্যের পরিবর্তন, অথনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। তাই বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে ঘুমন্ত বাঙালীজাতীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি করে। যে ৬ দফায় বাঙালি জাতীর স্বাধীনতার সকল উপকরণ ছিলো। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এমন একাটি স্বাধীন বাংলাদেশ পাব। যে বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন-যাপন করবো। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে যখন এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখন স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে নিসংশভাবে হত্যা করেছিলো। তারা আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তানি রাস্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিলেন। পৌর মেয়ল বলেন, জিয়াউর রহমান ঠেকায় পরে মুক্তিযদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি মুক্তিযোদ্ধা থাকলে স্বাধীনতা বিরধীদের পুর্ণবাসন করতেন না। এর পরে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাধীনতাকে কলংকিত করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির মাধ্যম্যে জাতিকে কলংকিত করছে।
উৎসব উদযাপন ষ্টেয়ারিং কমিটির মাহাসচিব রাধা গোবিন্দ ঘোষের সভাপতিত্বে ও উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ব্যাংকার মজিবুর রহমান এবং স্মৃতিচারণ উপ-কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানাউল্লা মিয়ার পরিচালনায় প্রধান স্মৃতিচারকের বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও জেলা ন্যাপ সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম পাটওয়ারী, বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জাবেদের ছোট বোন ফাতেমা বেগম মনি, শহীদ পরিবারের সদস্য ও চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান জাহান আলী পোটোয়ারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারি কমান্ডার নেছার উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযুদ্ধা রফিক উল্লাহ্, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মাহাসচিব ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, মাঠ ও মঞ্চের আহ্বায়ক ও চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশীদ, সম্মিলিত সাস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, সম্মিলিত সাস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সদস্য্য সচিব ইয়াহিয়া কিরণ, বর্নচোরা নাট্যগোষ্টির সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শরীফ চৌধুরী, অনন্যা নাট্টগোষ্টির সাধারণ সম্পাদক মৃনাল সরকার, পুরাণবাজার বিজয় উৎসব ষ্টেয়ারিং কমিটির যুগ্ম মহা-সচিব মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজি, সদস্য ফয়েজ আহমেদ মন্টু, উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতি ও সমাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
রাত সাড়ে ৮টায় বিজয় উৎসব মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনন্দধ্বনি সঙ্গীক একাডেমী। সব শেষে মঞ্চস্থ হয় চাঁদপুর ড্রামার দম ফাটানো হাসির নাটক বৌমা।
চাঁদপুরের ঐতিহ্যবহী বানিজ্যিকা এলাকা পুরণাবাজার মধুসূূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবের বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জাবেদের ছোট বোন ফাতেমা বেগম মনি,