ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে খেলতে গিয়ে ওয়াসার পানির পাম্পের প্রায় ৪০০ ফুট গভীর পাইপের পরিত্যক্ত গর্তে আটকে পড়া শিশু জিয়াদকে উদ্ধারে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে রেলওয়ে কলোনির মাঠসংলগ্ন ওই গর্তের খোলা মুখ দিয়ে নিচে পড়ে যায় শিশুটি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। রাত সোয়া ১০টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন শিশুটি বেঁচে আছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, পাইপটির ব্যাস ১৪ ইঞ্চি। তাই শিশুটিকে উদ্ধারে কাউকে পাইপ দিয়ে নিচে নামানো যাচ্ছে না। এরই মধ্যে পাইপে রশির সাহায্যে শিশুটিকে জুস দেয়া হয়েছে। অন্ধকারে যাতে ভয় না পায়, সেজন্য দুটি টর্চলাইট পাঠানো হয়েছে। শিশুটি এসব জিনিস পেয়েছে বলে সাড়া দিয়েছে।
শিশুটির বাবা নাসিম উদ্দিন জানান, বিকেলে দুই বন্ধুর সঙ্গে খেলা করছিল জিয়াদ। কূপের মুখ খোলা থাকায় খেলার এক পর্যায়ে সে নিচে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটি কূপের মধ্যে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনস্থলে পৌঁছান। এরপর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কয়েক দফায় কূপের ভেতরে রশি ফেলে শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শিশুটি রশিটি ধরে কিছু দূর ওঠার পরই রশি ছেড়ে দেয়। এভাবেই কয়েক দফায় রশি ছেড়ে দিয়েছে শিশুটি।
রশি দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে উদ্ধারকর্মীরা রাত ৮টার পরে চটের বস্তা ফেলে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। অনবরত কূপের মধ্যে অক্সিজেন ও আলো দেয়া হচ্ছে।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। শিশুটির স্বজনদের চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে যায়। যত সময় যাচ্ছে তত আতঙ্ক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার নিয়ে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সোয়া সাতটার দিকেও শিশুটির কান্নার চিৎকার শুনেছি। তাকে খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। দমকল বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে সে কথাও বলেছে।’’
জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শিশুটি রেলওয়ে কলোনিতে থাকে। তার পিতা নাসিমুদ্দিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নৈশপ্রহরী।
শিরোনাম:
সোমবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।