গত ৪ জুন রাতে চাঁদপুর শহরে নিজ বাসায় খুন হওয়া ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহীন সুলতানা ফেন্সি তার জীবদ্দশায় নিজের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। থানায় খোঁজ নিয়ে এ জিডির তথ্য জানা গেছে। অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা গত ৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে থানায় এ জিডিটি করেন।
জিডিতে অধ্যক্ষ ফেন্সি উল্লেখ করেন, আমি অদ্য ৮ এপ্রিল ২০১৮ সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্যে রক্ত দিয়ে অপেক্ষা করাকালীন আমার ০১৭৩২১৯৮৯৯৮ মোবাইল নাম্বারে ০১৬৪১৯৫৫৪৭৬ নাম্বার হতে আমাকে মোবাইল করে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে আমি ও আমার মেয়েদের চরিত্রহননমূলক গালিগালাজ করে আমাকে যখন যেখান পাবে সেখানেই জীবনের তরে খুন করে ফেলবে মর্মে হুমকি ধমকি প্রদান করে। ইতিপূর্বেও আমাকে অনুরূপভাবে জীবননাশের হুমকি ধমকি প্রদান করেছে। কাজেই উক্ত বিষয়ে আপনার কার্যালয়ে ভবিষ্যতের জন্যে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা একান্ত আবশ্যক।’
অধ্যক্ষ ফেন্সি চাঁদপুর মডেল থানায় এ সাধারণ ডায়েরিটি গত ০৮/০৪/২০১৮ তারিখ সন্ধ্যায় জমা দেন। এটি চাঁদপুর মডেল থানায় ৪১৮নং জিডি। এই জিডিতে অধ্যক্ষ ফেন্সি তার জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন। এ জিডির বিষয়ে থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা বা উদ্যোগ নিয়েছে কি না সেটিই এখন জানার বিষয়। হুমকি প্রদানের ওই নাম্বারটির ব্যাপারে নিবিড়ভাবে তদন্ত করলে হয়ত অনেক কিছু বেরিয়ে আসতে পারে। আর এই জিডি দায়েরের দুই মাস না যেতেই তিনি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হলেন।
এদিকে আইনজীবীদের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, হুমকি প্রদানের পর অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা ফেন্সি তার স্বামী অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করেন। তখন অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম তার সহকারী মিজানুর রহমানকে দিয়ে এই জিডিটি ড্রাফ্ট করে কম্পিউটারে কম্পোজ করান। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাহিন সুলতানা ফেন্সি অ্যাডঃ জহিরের সহকারী কৃষ্ণা মজুমদার খুকিকে সাথে নিয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করান।