লাখো মুসল্লির কান্না আর রোনাজারির মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের জুমাতুল বিদার আখেরী মোনাজাত। নামাজ চলাকালীন ও তার আগে পরে মিলিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে থমকে দাঁড়ায় হাজীগঞ্জ বাজার। এ সময়টাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা বন্ধ করে দেন দোকানের সকল লেনদেন ও বন্ধ হয়ে যায় বাজারের উপর দিয়ে চলাচলকারী সকল ধরনের যানবাহন। এভাবেই শেষ হলো ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের জুমাতুল বিদার নামাজ ও আখেরী মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করেন ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আঃ রউফ।
সকাল আনুমানিক ১০টায়ই বড় মসজিদের ভেতরের অংশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দুপুর ১২টা নাগাদ মসজিদের সামনের মাঠসহ তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরই বাজারের মার্কেট সমূহের গলি মিলিয়ে দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টার কিছু আগ থেকেই চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজার অংশের উপর মুসল্লিরা বসে পড়ে। সে থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নামাজ শুরুর আগ মুহূর্তে হাজীগঞ্জ বাজারের মসজিদ সংলগ্ন সকল অংশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজ শেষে আখেরী মোনাজাতে লাখো মুসল্লির কান্না ও রোনাজারিতে হাজীগঞ্জ বাজারের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এ সময় বহু মুসল্লির চোখের পানি গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের চলে যাওয়া ও বাজারের যানজট নিরসনে প্রায় কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
এদিকে অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকাল ৮ টার মধ্যে হাজীগঞ্জ বাজারের রাস্তা পরিষ্কার করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি চাঁদপুর থেকে আসা পুরুষ পুলিশের পাশাপাশি নারী মুসল্লিদের নামাজের স্থানে মহিলা পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য। নামাজের অযুর জন্য মসজিদের বড় বড় ৩টি ওযুখানার পাশাপাশি বাজারের বিভিন্ন স্থানে বেশ ক’টি অস্থায়ী ওযুখানা তৈরি করা হয়েছে, যেগুলোতে মুসল্লিরা কোনো রকমের ঝামেলা ছাড়াই ওযু করেছে।
নামাজের সময় হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি এবং মসজিদের ৪০জন স্টাফকে সার্বক্ষণিক সকল কাজ তদারকি করতে দেখা যায়।