চাঁদপুরে মুসল্লিদের কাছে জুম্মা ও ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে ভুয়া ফতোয়া দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর শহরের ওয়ারল্যাস এলাকার ফজলুল করিম কাওমি মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলামকে সাময়িক অব্যহতি দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
ড. জাকির নায়েকের দোহাই দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ঈদের দিন ঈদ গায়ে ঈদের নামাজের খুতবার সময় মুসলিদের সামনে ফতুয়া দেন শুক্রবার হলে শুধু ঈদের ওয়াজিব নামাজ পড়লেই চলবে,জুম্মার ফরজ নামাজ পড়তে হবে না।জাকির নায়েকে বেঙ্গ করে বিভিন্ন কথা বলে,মুসল্লিরা জানায় এমন কথা জাকির নায়েক বলে নাই কিন্তু জাকির নায়েক বলেছে বলে, এমন ফতোয়ায় ফুঁসে ওঠেছে ধর্মপ্রান মুসলমানরা। এ ফতুয়া দেওয়ার পর ফজলুল করিম কাওমি মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলামকের কাছে এর সত্যতা মুসল্লিরা জানতে চাইলে তিনি এর প্রমান দেখাবে বলে তাৎক্ষনিক রক্ষা পায়। এদিকে ঈদ শেষে অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সুনির্দিষ্ট প্রমান না পাওয়ায় এলাকাবাসির তোপের মুখে মসজিদের খতিবের পদ থেকে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করেন। ঈমাম মফিজুল ইসলাম কচুয়া উপজেলার নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাদ্রাসার কিতাব বিভাগে শিক্ষকতা করেন। কোরআন ও কিতাবের আলোক ব্যাতিত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ঈদ গাঁয়ের মত জামাতে এমন ফতোয়া ঞ্জানহীন ও নির্বোধতার পরিচয় দেয় বলে মনে করেন আলেম সমাজ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার সহকর্মী আবদুল হালিম এর মোবাইলের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ঈদের খুতবায় ড. জাকির নায়েকের বক্তব্য পেশ করেছি। পরে প্রমান দেখাতে না পারায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে সাময়িক অব্যহতি দিয়েছে।