মুহাম্মদ মাসুদ আলম:
২০১৩ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় চাঁদপুর জেলার শীর্ষস্থান লাভ করেছে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শতভাগ পাশসহ এ বছর সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শহরের আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ বালক ও বালিকাসহ দুইটি ক্যাম্পাস মিলিয়ে জেলা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
এ বছর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সর্বমোট ২শ’ ৬৬জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১শ’ ৫৭জন, এ পেয়েছে ১শ’ ৬জন এবং এ- পেয়েছে ০৩জন। পাশের হার শতকার ১০০%। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খালেদা খানম জানান, এ বছর জেলার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও শিক্ষার্থীদের নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে অধ্যয়নের মাধ্যমেই এ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলাফল আরো ভালো হয়েছে। আশকরবো ফলাফলের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদানের মান আরো উন্নয়নের কারণেই এ বছর পরীক্ষার ফলাফলে ‘এ’-র মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো।
আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ বিগত বছরে বেশ কয়েকবার জেলার শীর্ষস্থান অর্জন করলেও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাম্পাস দুইটি। মুল ক্যাম্পাস ছাড়াও রয়েছে ছাত্রী শাখা। দুইটি ক্যাম্পাস মিলিয়ে এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় ৫শ’ ২০জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে ১শ’ ৩৮টি জিপিএ ৫ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জেলায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। এ পেয়েছে ২শ’ ৮৯জন, এ- পেয়েছে ৭২জন, বি পেয়েছে ১৭জন, বি- পেয়েছে ২জন, উত্তীর্ণ হয় নাই ২জন। পাশের হার শতকরা ৯৯.৬২%। প্রতিষ্ঠানটি বিগত বছরের তুলনায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।
২শ’ ২৮জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১শ’ ১৮টি জিপিএ ৫ এবং শতভাগ উত্তীর্ণ নিয়ে জেলায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটিতে এ পেয়েছে ১শ’ ৩জন, এ- পেয়েছে ৩৪জন এবং বি পেয়েছে ৩জন। তবে এ প্রতিষ্ঠানটি জেলার শীর্ষস্থান অর্জন না করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের তুলনায় ফলাফল খুবই সন্তোষজনক।