প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনের আগের রাত ১টা ও ভোট কেন্দ্রে ভোটারা ভোট দিতে যাওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি কপি তুলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তালহা জুবায়ের নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। যা বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার বিগত সময়ের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ থেকে উত্তোরণে চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃনির্বাচনর দাবী জানিয়ে সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমশিনার বরাবর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অভিজিত রায় ও এস এম সোহেল আবেদন পত্র জমা দেয়।
সোমবার বেলা ১২টায় প্রধান নির্বাচন কমিশানর আলম পলাশ বাসায় না থাকায় তার স্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনার এম এ লতিফ কুমিল্লায় অবস্থান করায় বাসায় গিয়ে তার মায়ের হাতে এবং আরেক নির্বাচন কমিশনার চৌধুরী ইয়াছিন ইকরামকে কোর্ট প্রাঙ্গনে গিয়ে হাতে আবেদন পত্র দেওয়া হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলম পলাশকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এব্যাপারে কমিশনার এম লতিফের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কুমিল্লায় অবস্থান করছি চাঁদপুরে সন্ধ্যায় এসে দরখাস্তটি দেখবো।
কমিশনার ইয়াছিন ইকরাম বলেন, আমি দরখাস্তটি গ্রহন করলাম তবে কোন রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর করবো না। আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন আমি বাকী কমিশনারদের বিষয়টি আবগত করবো। কমিশনার ইয়াছিন ইকরামের পাশে বসে কমিশনার এম এ লতিফকে ফোন দেওয়া হয়।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তালহা জুবায়ের ভোটারদের প্রভাবিত করতে নির্বাচনের আগের দিন রাত ১টার পরে শহরের কালী বাড়ির রেলস্টেশনে কাল্পনিক প্রতিশ্রুতি কপি ভোটারদের হাতে তুলে দেন। এছাড়ারও ভোটের দিন ২৭ এপ্রিল শুক্রবার ভোট চলাকালীন সময়ে ভোটারা ভোট দিতে কেন্দ্রে গেলে প্রতিশ্রুতি পত্র ভোটারদের হাতে হাতে বিতরন করেন। যা নির্বাচন কমিশনার কতৃক গৃহিত আচরনবিধির ৬ নম্বরের পুরোপুরি লঙ্ঘন। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সুনাম ধরে রাখতে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃনির্বাচনর দাবী জানানো হয়।
আরো জানা যায়, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখা নির্বাচন কমিশনারদের চাপ প্রয়োগ করে কাউকে না জানিয়ে আজ সোমবার রাতে দায়িত্ব গ্রহণের পায়তারা করতে চাচ্ছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্যরা। কিন্ত এ ব্যাপারে বর্তমান কার্যকরী পরিষদের অনেকই অবগত নহে।