চাঁদপুর নিউজ রিপোট
চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কৃত) কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল গত ৩০ অক্টোবর বুধবার চাঁদপুরের স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেছেন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সেক্রেটারী মূলতঃ আওয়ামী পরিবারের লোক। তা ছাড়া তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে এ পর্যায়ে আসেননি। সুতরাং তার দ্বারাই অসংলগ্ন কিছু বলা সম্ভব। জুয়েল তার ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে জেলা বিএনপি সেক্রেটারীর মনত্দব্য প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।
তিনি গত বুধবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনস্থ এলিট চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে সম্পাদকদের সাথে ওই মতবিনিময় সভা করেন। কাজী জুয়েল চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ছাত্রদল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন নয়, সহযোগী সংগঠন। ছাত্রদলের আলাদা গঠনতন্ত্র রয়েছে। সে অনুযায়ী ছাত্রদল পরিচালিত হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত বছর চাঁদপুর সফরে আসার কয়েকদিন আগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাঁদপুর এসেছিলেন। তখন তারা জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের সাথে প্রস্তুতি সভা করেছিলেন। সে সভায় আমাকে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। আর সবচে’ বড় কথা হচ্ছে, আজ চাঁদপুর জেলা বিএনপিতে সুস্পষ্ট দুটি গ্রুপ রয়েছে। আমি যদি জেলা বিএনপির সেক্রেটারী মানিক সাহেবের গ্রুপ করতাম তখন আর আমার পদ নিয়ে কথা হতো না। অথচ আমার কমিটিরই সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক তো ঠিকই তাদের পদ ব্যবহার করছে। অর্থাৎ তারা উভয়ই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ব্যবহার করছে। তাদের বেলায় তো কোনো আপত্তি করা হয় না। কারণ, তারা জেলা বিএনপি সেক্রেটারীর গ্রুপের, এ জন্য তাদেরটা বৈধ।
নিহত আরজু ঢালী প্রসঙ্গে জুয়েল বলেন, আমি যখন জানলাম যে আরজু ছাত্রদল কর্মী তখন আমার উপর সাংগঠনিক দায়িত্ব এসে যায়। আমি সাথে সাথে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর জেলার দায়িত্বে যে সাংগঠনিক টিম রয়েছে সে টিমের দায়িত্বশীলদের সাথে আলাপ করে চাঁদপুরে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করি। সুতরাং এটি কোনো আমার ব্যক্তির কর্মসূচি নয়, ছাত্রদলের কর্মসূচি। আমি এ কর্মসূচি ঘোষণা করার পর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারীর সাথে যোগাযোগ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু যখন জানলাম তারা সংবাদ সম্মেলন করে আমার এ কর্মসূচির বিরোধিতা করেছেন তখন আমি সে ইচ্ছা থেকে সরে আসি। তিনি বলেন, উনি (শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক) মূলতঃ আওয়ামী পরিবারের লোক। তারপরও তিনি জেলা বিএনপির সেক্রেটারী হয়েছেন। তবে তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে এ পর্যায়ে আসেননি বিধায় তার দ্বারা এসব কিছু বলা সম্ভব। আমি ছাত্রদলের রাজনীতি তৃণমূল থেকে করে এ পর্যায়ে এসেছি। ছাত্রদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনীতি থেকে শুরু করে হলের রাজনীতিও করেছি। অতএব, সংগঠন এবং সাংগঠনিক নিয়ম শৃঙ্খলা আমি বুঝি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর দর্পণের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ইকরাম চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, ইলশেপাড়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বিএম হান্নান, চাঁদপুর বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদ পাটোয়ারী, চাঁদপুর প্রবাহের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রহিম বাদশা, চাঁদপুর সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রহমান, মেঘনা বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল আউয়াল রুবেল, চাঁদপুর প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক জিএম শাহীন, চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদকের পৰে বার্তা সম্পাদক এ এইচ এম আহসান উলস্নাহ, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন ও আমাদের কুমিলস্নার জেলা প্রতিনিধি কেএম মাসুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উলস্নাহ খোকন।