জেলেদের সাথে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংঘর্ষের নৈপেথ্য মেঘনা নদীতে স্থানীয় লোকজন পুলিশি ভূমিকায় ॥ জাল ও নৌকা আটকের জের চরভৈরবীতে বসতঘর, দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্মিসংযোগ

শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
হাইমচর উপজেলার ৬নং চরভৈরবী ইউনিয়নের কাটাখাল মেঘনা নদীর পাড়ে জেলেদের সাথে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংঘর্ষে আহত হওয়ার ঘটনার নৈপথ্য স্থানীয় লোকজন পুলিশি ভুমিকা রেখে নদী থেকে জেলেদের জাল ও নৌকা আটক করে আনার পর সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে। । গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় জেলেদের অর্তকিত হামলায় চরভৈরবী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মদ আলী মাষ্টার সহ ১৫জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৭ জন কে চাঁদপুর সরকারি জেনালের হাসপাতালেেেন ভর্তি করানো হয়েছে। হাইমচর থানা পুলিশ ঘটনার পূর্বে ২৫জন ও ঘটনার পর ৭জন জেলেকে মেঘনা নদী থেকে আটক করেছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা আহত হওয়ার তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার বিকাল ৪টায় প্রতিবাদ সমাবেশের করার নামে সেখানে গিয়ে ৯ টি দোকারপাঠ ও ৩টি বসত বাড়ি ভাংচুর করে। এসময় তারা একটি খেরের পাড়ায় পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, চরভৈরবী কাটাখাল এলাকায় স্থানীয় যুবকরা শনিবার রাতে ট্টলার নিয়ে নদীতে গিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর এলাকার জেেেলদের জাল ও নৌকা আটক করে তীরে নিয়ে আসে। একই সময়ে কাটাখালের উত্তরে দক্ষীন বঘুলার চরে জেেেলরা জাল থেকে মাছ সংগ্রহ করার সময়ে ঐ যুবককরা একই কায়দায় স্থানীয় জেলেদের জাল জোর পূর্বক নিয়ে আসার সময় বাক বিতন্ড সৃস্টি হয়। তারা জাল ও নৌকা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সৃস্টি হয়। স্থনীয় যুবকরা পরে চরভৈরবী ইউনয়নের সভাপতি আহম্মদ আলী মাষ্টার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইলিয়াছ লিটন জয়েন্ট সেক্রেটারী মনির সরদার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান মাষ্টার, যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি মহিউদ্দিন মোল্লা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল মাঝিসহ অন্যান্য নেতাদের খবর দিলে তারা ঘটনা স্থলে যায়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় উল্লেখিত নোতারা সহ ১৫ আহত হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মিরা আহত হওয়ায় এর প্রতিবাদে চরভৈরবী খাটাখাল এলাকায় রোবাবার বিকাল চারটায় প্রতিবাদ সমাবেশ করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লেিগর সভাপতি মেতালেব জমাদার সেখানে যাওয়ার পূর্বেই স্থানীয় বখাটে যুবককার দেশিয় অশ্রসশ্র নিয়েকাটাখাল মঘনা নদীর তীরে গিয়ে ভাংচুর চালায়। এসময় তারা মহিউদ্দীন প্রধানীয়ার ঔষধের দোকান হেলাল প্রধানীয়ার মুদি দাকান, শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ভাতের হোটেল, মনু মিয়া বেপারীর মুদি দোকান, ফারুকের মুদি দোকান, রিপনের মুদি দোকান, মফিজ চকিদোরের মুদি দোকান ও জসিম বেপারী, রুস্তম বেপারী, মফিজ চকিদারের বসত ঘর ব্যাপক ভাবে ভাংচুর চালায়। এছাড়া তারা আসার পথে খেরের পাড়ায় পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। হাইমচর থানায় হামলার ঘটনায় মামলা হওয়ায় চরভৈরবী এলাকা গ্রেফতার আতঙ্কে জনশুন্য হয়ে গেছে। এদিকে চাঁদপুর সদর হাসপাাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা জানায়, প্রতিদিন নীলকমল নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ আঃ রহমানের নেতিত্বে শত শত জেলে নদীতে ঝাটকা মাছ নিধন করে। এছাড়া তার পাহাড়ায় প্রতিদিন রাতে ৮ থেকে ১০টি ট্রাক ঝাটকা ইলিশ পাচার করা হয়। প্রতিদিন নৌ পুলিশের ইনচার্জ আঃ রহমান জেলে ও আড়ৎদার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে তাদের সহযোগীতা করে। ঘটনার দিন রাতে তার ইন্দ্রনে জেলারা ও আড়ৎদারা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় চাঁদপুর নৌপুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম নুরুজ্জামান আলাপ কালে তিনি বলেন, চরভৈরবীতে রাজনৈতিক তলের নেতা ও জেলেদের সাথে সংঘর্ষের বিষয়টি অত্যান্ত দুর্খজনক। নিলম কমল ফাড়ির ইনচার্জ এর বিরেুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সে’ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি রাখা হবে।এদিকে চরভৈরবী জেলে কাশেম তালুকদার, সেলিম গাজী, খোকন তালুকদার জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থেকে জেলেরা চরভৈরবী মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে আসলে তাদের ঝাল নিয়ে এলাকার যুবকরা চাঁদা চায়। তাদের কথা মত ১০ হাজার টাকা না দেওয়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে তারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এনে ঘটনার সাথে জড়ায়।