দাবদাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। এখন দেশে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় লোডশেডিং দেখা না গেলেও বাইরের জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। অসহনীয় গরমের মধ্যে দিনের বেলা ও রাতে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে ঢাকার বাইরের মানুষ।
কলকারখানার উৎপাদনও কমে গেছে। এই তীব্র গরম না কমলে লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সারা দেশে আবার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। জ্বালানির সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
এতে দেশে এখন দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে ঢাকার বাইরের জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
এদিকে গত রবিবার ভোররাত থেকে কয়লাসংকটে বন্ধ রয়েছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন। কেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে ৫০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল।
কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং পরিস্থিতি আরো বেড়েছে।
বিপিডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল বলেন, ‘এখন কয়লা, গ্যাস, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের সংকট রয়েছে, যার কারণে আমরা চাইলেই বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে পারছি না।’
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে লোডশেডিং ছিল এক হাজার ৫৫৫ মেগাওয়াট। তখন দেশে চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয়েছিল ১২ হাজার ৩৪৫ মেগাওয়াট।