রফিকুর ইসলাম বাবু ॥
অবশেষে চাঁদপুরে আলোচিত ঘটনা জ্বীনের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছেন পল্লি বিদুৎ সমতি-২ এর ডিজিম ও তার পরিবার। ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের ট্রাক রোড এলকায় বহুতল ভবনের ওই বাড়াটিয়া ৪র্থ তলা থেকে ৫ম তলায় উঠে এবং কবিরাজের মাধ্যমে ঝাঁড়Ñফুঁক দিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় অবশেষে ওই বাড়িটি ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে চলে গেছেন। এ দিকে এই ঘটনায় প্রতিদিনই শত শত উৎসুক মানুষ বাড়িটি দেখতে ওই এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে। এছাড়াও ওই বাড়ির বাড়াটিয়া ২৩টি পরিবারের মাঝে ভয় এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য : চাঁদপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ২এর ডিজিএম মনিরুল ইসলাম দীর্ঘ দুই বছর ধরে চাঁদপুুরে চাকুরি করার সুবাদে শহরের মিশন রোড রেলক্রসিং সংলগ্ন ট্রাক রোডের প্রবাসী মোঃ শাহজালাল মোল্লার মালিকানাধীন রোজ গার্ডেন ৬ তলা ভবনের ৪র্থ তলার ৪-৪ ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। এ ফ্লাটে থাকাবস্থা পরিবারটি আচমকা ঘরের জিনিসপত্র অদৃশ্যভাবে মেঝে ছুড়ে পরতে থাকে এই থেকেই তাদের মধ্যে জ¦ীনের আতঙ্ক বিরাজ করে। গত ৫-৬ দিন পূর্বে মনিরুল ইসলাম ৪র্থ তলার এ ফ্লাটটি ছেড়ে দিয়ে ৫ম তলার ৫-২ নং ফ্লাটে চলে যায়। ওই ফ্লোরে থাকা সময়ে এক রাতে পরিবারের লোকজন নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে গল্প করার সময় হটাৎ করে মেঝেতে অদৃশ্যভাবে কলম দিয়ে অ^াঁকা ঝোঁকা করে রেখে যায়। এই থেকে জ¦ীনের আতঙ্কটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ১৫ আগস্ট থেকে তাদের ঘরে অদৃশ্য ছায়া জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলছে। বিভিন্ন লোকের পরামর্শক্রমে গত ১৭ আগস্ট শুক্রবার গজারিয়া উজানি হুজুর মাওঃ মোঃ মাকসুদকে ওই বাসায় এনে দোয়া দুরুদ পড়ানো হয়। শাহজালাল মোল্লার বাড়ির কেয়ার টেকার মোঃ আবু তাহের জানান, এ পরিবারটিতে জ্বীনের আছড় বিরাজ করার বিষয়টি বাড়ির মালিককে বিদেশে জানানো হয়েছে। একদিন সন্ধ্যায় মনিরুল ইসলামের ঘরে গিয়ে দেখতে পাই উপর থেকে এক টাকা দু’টাকার সোনালি ও রূপালী রঙের কয়েন পড়ছে। আবার মুহুর্তের মধ্যেই ঘরের জিনিসপত্র ছুড়ে মারা হচ্ছে। শাহজালাল মোল্লার রোজ গার্ডেনট বাসাটি ৬তলা বিশিষ্ট। এ বাসায় নিচ থেকে উপর পর্যন্ত ২৩টি পরিবার বসবাস করছে। বর্তমানে সকল পরিবারের এ অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া শাওনের আম্মু জানান, তাদের বিপরীত ফ্লাটে (৪-৪) থাকাবস্থায় এখানেও জ¦ীনের আতঙ্ক দেখা দেয়। যার জন্য তারা এ ফ্লাট ছেড়ে দিয়ে ৫ম তলায় চলে যায়।