চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
চাঁদপুর-৪ তথা ফরিদগঞ্জ আসনে অপ্রত্যাশিত নাটকীয় কিছু একটা হয়তো ঘটতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এমপি কে হচ্ছেন ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া না-কি জাতীয় পার্টির মাইনুল ইসলাম মানু�এ নিয়ে পুরো চাঁদপুর জেলায় চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কি আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির সমঝোতার বলি হতে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়াকে? গতকাল বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্যই ছিলো জেলার সর্বত্র। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী মাইনুল ইসলাম মানু গতকাল রাতে চাঁদপুর কণ্ঠের কাছে �মহাজোট� থেকে তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
জাতীয় পার্টির সাথে আওয়ামী লীগের সারাদেশে আসন ভাগাভাগি হচ্ছে এমন সংবাদ গত ক�দিন বিভিন্ন সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছিল। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদ থেকে জানা গেছে যে, সারাদেশে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির আসন ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টিকে ৬০টি আসন দেয়া হয়েছে। এই ৬০ আসনের মধ্যে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনও রয়েছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন মাইনুল ইসলাম মানু। অর্থাৎ মাইনুল ইসলাম মানু হচ্ছেন আওয়ামী-জাতীয় পার্টির সমঝোতার এমপি প্রার্থী। জাতীয় পত্রিকায় এমন সংবাদ দেখে জেলার সর্বত্র এটি ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল রাত ৯টা ২৪ মিনিটে মাইনুল ইসলাম মানুর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান, এখন থেকে দু� ঘণ্টা আগে আমি জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়েছি। এ চিঠিতে আমাকে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারকে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির মধ্যে যে আসন ভাগাভাগি হয়েছে সেখানে আমাকে চাঁদপুর-৪ আসন থেকে মনোনীত করা হয়েছে। �তাহলে আপনি কি মহাজোটের প্রার্থী� এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আপনারা ধরে নিতে পারেন।
অপরদিকে জানা গেছে, ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া তাঁর আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মাইনুল ইসলাম মানুর মনোনয়নপত্র বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।