ডাঃ এস.জামান পলাশ
মুখ গহ্বরের দুই পাশে টনসিল থাকে, আমরা যা খাই সেগুলোকে পিচ্ছিল করার জন্য তরল পদার্থ নিঃসরণ করে। এতে করে খুব সহজেই খাদ্যদ্রব্য খাদ্যনালী দিয়ে পাকস্থলীতে চলে যায়। নতুন নতুন ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে যখন টনসিল হেরে যায় তখন নিজেই কাবু হয়ে ইনফেকটেড বা প্রদাহের সৃষ্টি হয়। কিছু ব্যাকটেরিয়া যখন খাদ্যের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে। সেগুলোকে ধ্বংস করার জন্য টনসিল থেকে এক ধরনের তরল রস বের হয়। টনসিলের প্রদাহকে টনসিলাইটিস বলে। যে কোনো বয়সের লোককে আক্রমণ করতে পারে। তবে সাধারণত শিশু ও কিশোরদের বেশি আক্রমণ করে।
উপসর্গ : এ রোগের প্রধান উপসর্গ হলো জিহ্বায় ক্ষত বা ফাটা, গন্ধযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস, স্বরভঙ্গ, গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি, ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, মাথা ব্যথা, মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া, খক খক করে গলা পরিষ্কার করা, খাদ্যদ্রব্য গিলতে কষ্ট হওয়া, গলা ও কানে ব্যথা হওয়া, গলা ফুলে যাওয়া, প্রায়ই খক খক কাশি হওয়া।
কারণসমূহ : পুষ্টির অভাব, আইসক্রিম, অতিরিক্ত ফ্রিজের পানি পান করা টনসিলের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। স্যাঁতসেঁতে স্থানে বাস করলে, বেশি সময় নিয়ে গোল করলে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে শীতের প্রকোপ বেশি হলে, রোদ থেকে এসে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি পান করলে, এছাড়া তীব্র গরমে ঘাম বসে গেলে টনসিলের প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে প্রাই গলা ব্যথা হলে টনসিল বেড়েছে ভাবা ভুল।
চিকিৎসাঃ এ রোগের জন্য হোমিওপ্যাথি সব চাইতে উত্তম চিকিৎসা,টনসিলের অবস্থা যত জটিলই হোক না কেনো তা অপারেশান ছাড়া হোমিওপ্যাথি মেডিসিনের সাহায্যে চিকিৎসা সম্ভব হয।
==========================
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog