চাঁদপুর সদর সংবাদদাতা: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টাহরখিলে বসতবাড়িতে গরুর খামার করে পরিবেশ দূর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেল স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর টাহরখিলের মৃত ফজলুর রহমান খানের ছেলে মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম খান লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর রবিবার দুপুরে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নীনা আক্তার সরজমিনে গিয়ে পরির্দশন করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, টাহরখিল খান বাড়ির মৃত নোয়াব আলী খানের ছেলে মোঃ আবুল কালাম আজাদ খান ( কালু) বসত বাড়িতে ঘরের সাথে গরুর খামার করে, খামারের ময়লা অভিযোগ কারী তাজুল ইসলাম খানের ঘরের পাশেই পড়ছে। যার ময়লা আবর্জনার দূগন্ধের কারনে তাজুল ইসলামের ঘরে বসবাস করতে মারাত্মক কষ্ট হচ্ছে। এমনকি প্রতি বছর সিয়াম সাধনার সময় গরুর খামারের ময়লার দুর্গন্ধের কারনে তাদের রোজা রাখতে সীমাহীন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কালুকে অনেক বার বলার পরও কালু খান বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছেমত গরুর খামার সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে গিয়ে ও কোন প্রকার সমাধানের আলোর মুখ না দেখে তাজুল ইসলাম খান উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ প্রেক্ষিতে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নীনা আক্তার, সহকারী হুমায়ূন কবির ঘটনা স্থল পরির্দশন করেছেন।
এ সময় তারা অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্য কালু খানকে গরুর খামার অন্যস্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নুটিশ প্রদান করেন।
উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নীনা আক্তার বলেন বসত বাড়িতে গরুর খামার করা সম্পূন্ন অাইন বিরোধী, যে কেউই কোন ভাবে বসত বাড়িতে গরুর খামার করতে পারবেনা। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়, মানুষের জীবন যাত্রার মান নষ্ট হয়, বাড়ির পরিবেশের কারনে কালুর গরুর খামার প্রয়োজনে বন্ধ করে দিতে হবে।
এ বিষয়ে অভিযোক্ত আবুল কালাম আজাদ খান (কালু) বক্তব্য নেওয়ার জন্য কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান।
ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম খান পরিবেশ দূর্ষন থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/